জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত একটি পদ্ধতি। বহু বছর আগে থেকেই জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন ধরনের পিল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। অনেক নারীরই পিলে পার্শ্বপ্রতিক্রীয়া হয়। তাই ভয়ে পিল খেতে চান না। তবে এবার সুখবর দিল জাপানের একদল বিজ্ঞানী। তারা আবিষ্কার করেছেন পুরুষদের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিলের ফর্মুলা।
ইতোমধ্যে ওসাকা ইউনিভার্সিটির রিসার্চ ইন্সটিটিউট ফর মাইক্রোবিয়াল ডিজিজের এই গবেষকরা ক্যালসিনইউরিনের PPP3CC ও PPP3R2 প্রোটিন পুরুষ ইঁদুরদের ওপর পরীক্ষা করে দেখেন। গবেষণায় তারা দেখেছেন, যেসব পুরুষ ইঁদুরদের শরীরে PPP3R2 কম মাত্রায় উৎপন্ন হয়, তাদের শরীর PPP3CC উৎপন্ন করতে পারে না। লস এঞ্জেলস টাইমসে প্রকাশিত হয় এই গবেষণার ফল।
এসব ইঁদুরদের নকআউট ইঁদুর হিসেবে ধরা হয়। দেখা গেছে নকআউট ইঁদুরদের সঙ্গে মহিলা ইঁদুরদের যৌনসংসর্গে মহিলা ইঁদুরদের গর্ভসঞ্চার হয় না। পরীক্ষার পর গবেষকরা দেখেন নকআউট ইঁদুরদের শুক্রানু ডিম্বানুর জোনা পেলুসিডা মেমব্রেন ভেদ করে ঢুকতে পারে না। গবেষকরা জানাচ্ছেন নকআউট ইঁদুরদের শুক্রানু অন্য শুক্রানুদের মতো লেজ নাড়াতে পারে না। সেই কারণে এই শুক্রানুগুলি ডিম্বানুর পর্দা ভেদ করতে পারে না।
এর পরের পর্যায় সুস্থ স্বাভাবিক ইঁদুরদের সাইক্লোস্পোরিন A এবং FK506 ওষুধ দেওয়া হয়। এই ওষুধের মধ্যে PPP3CC ও PPP3R2 উৎসেচক থাকে। দেখা গেছে এই পরীক্ষা চলাকালীন টানা ২ সপ্তাহ ইঁদুরগুলির যৌনসক্ষমতা নষ্ট হয়ে গিয়েছে, পরীক্ষা বন্ধ করার এক সপ্তাহ পর ফের তাদের যৌনসক্ষমতা ফিরে আসে।
এই গবেষণার ওপর ভিত্তি করেই স্পার্ম ক্যালসিনেরিয়ামকে পুরুষদের জন্ম নিয়ন্ত্রক হিসেবে ব্যবহারের কথা ভাবছেন গবেষকরা।