ওজন মানুষের জন্য সবসময়ই বিড়ম্বনা। বাড়তি ওজন যেমন রাতের ঘুম কেড়ে নেয় তেমনি অপেক্ষাকৃত কম ওজনও কিন্তু চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে সময় নেয় না। আপনার পোশাকের ফিটিং থেকে শুরু করে ব্যক্তিত্ব পুরো জীবনযাপনেই প্রভাব ফেলে সঠিক ওজন। অনেকেই কম ওজনের জন্য মেটাবোলিজম বা বংশগত জিনকে দোষারোপ করেন। কিন্তু নিজের চেষ্টাতেই আপনি সঠিক ওজনের অধিকারী হতে পারেন। দুপুরের সঠিক পরিমাণের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার তালিকায় স্থান পেতে পারে। সাথে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাটও থাকতে পারে। নিয়মিত হারে আমিষযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে ভালো হয়। মটরদানা, শিমের বিচি, ডালের মতো উচ্চ প্রোটিনের খাবারকে প্রাধান্য দিতে হবে।
সঠিক পরিমাণে ক্যালরি গ্রহণ স্বাস্থ্য বর্ধনের জন্য খুবই প্রয়োজন। এক সমীক্ষাতে দেখা গেছে প্রতিদিনকার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন পুরুষের প্রয়োজন হয় ২২০০ ক্যালরি এবং একজন নারীর ক্ষেত্রে সে সংখ্যা ১৯০০ তে গিয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং এই সূত্র মোতাবেক প্রতি সপ্তাহে আধাকেজি ওজন বাড়াতে একজন ব্যক্তির প্রতিদিন ১০০০ ক্যালরি অতিরিক্ত গ্রহণ করা উচিত। সুতরাং খাবারের তালিকায় ক্যালরি সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন।
যে কারণেই ওজন বাড়াতে চান না কেন, এর জন্য দৈনিক খাবার পরিমাণ বাড়াতে হবে। আর এ জন্য একবারে বেশি না খেয়ে অল্প করে বারবার খেতে হবে। দিনে তিন বেলা মূল খাবারের পাশাপাশি আরো খাবার ও নাশতা খেতে হবে। একবারে বেশি খাবেন না।পানীয়কে অবহেলা করলে কিন্তু হবে না। মিল্কশেক, কোমল পানীয়, জুস এসব থেকেও আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালরি পাবেন। অনেকের ধারণা রয়েছে, ব্যায়াম করতে হয় কেবল ওজন কমানোর জন্য। এটা ঠিক নয়। সুস্বাস্থ্যের জন্য আপনার লক্ষ্য যাই হোক না কেন, নিয়মিত এক্সারসাইজ করা জরুরি। এতে হাড় শক্ত হবে, দেহের নমনীয়তা এবং পেশির দৃঢ়তা বাড়াবে। সহজে বলতে গেলে ব্যায়াম যেমন শক্তি বাড়ায় তেমনি পেশি তৈরি করে ওজনও বাড়াতে পারে। তবে আপনার ক্যালরি ক্ষয়ের পরিমাণ বেশি হলে হালকা ব্যায়ামেই কাজ সেরে নিতে পারেন। মনে রাখবেন ওজন বেশি যেমন সমস্যা ঠিক ওজম কম থাকাটাও ক্ষতিকর।