সন্তান জন্মদানের পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক মায়ের দাগ চলে যায়। আবার অনেক সময় সন্তান জন্মের পরও দাগ থেকে যায়। মায়েরা তাই চিন্তিত হয়ে পড়েন। অথচ একটু সচেতন হলে দাগ পড়া ভাবটা কিছুটা হলেও কমিয়ে আনা যায়।
দাগের কারণ
পেটের চামড়া চাপের কারণে ফেটে যায়। রিলাক্সিন, ইস্ট্রোজেন ও করটিসল হরমোন বেড়ে গিয়ে মিউকোপলিসেকারাইড জমা করে। যা যোজক কলা থেকে পানি শোষণ করে। ফলে যখন টান পড়ে, তখন সহজেই ওই স্থানে দাগের সৃষ্টি হয়ে যায়। কম বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন দাগ খুব সহজেই পড়ে।
লক্ষণ
* লাল রঙের ক্ষত দাগ
* জ্বালাপোড়া ও চুলকানি
* পিগমেন্টেশন কম হওয়া
* দাগের অংশটি গর্তের মতো হয়ে যাওয়া
* লম্বালম্বিভাবে নাভির ওপরের অংশ থেকে নিচ পর্যন্ত দুই পাশেই দাগ হতে পারে।
প্রতিকার
সবচেয়ে ভালো কাজ করে মূলত অলিভ অয়েল। গর্ভকালীন অবস্থায় দুবেলা অলিভ অয়েল লাগাতে পারেন। অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া ট্রেটনইন ক্রিম, লোশন, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্যাস্টর অয়েলও ভালো কাজ করে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাজারে পাওয়া যায় এমন ক্রিমও ব্যবহার করতে পারেন।
চিকিৎসা
লেজার থেরাপি অনেকের ক্ষেত্রেই ভালো কাজ করে। তবে ভালো একজন ডার্মাটোলজিস্ট দেখাতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কিছুই করা যাবে না।
সূত্র: কালেরকণ্ঠ
Loading...
advertisement