এইমাত্র পাওয়া

  • কাপ জিতেই ছাড়ব, জন্মদিনে শপথ মেসির
  • প্রাথমিকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জুলাইয়ে, থাকছে ৬০% নারী কোটা
  • ঝালকাঠিতে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ধ্রুবতারা’র দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠান
  • ঝিনাইদহে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার
  • দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে
  • ফাঁটা পায়ের যত্নে কিছু পরামর্শ !!
  • ডায়াবেটিস রোগীরা কি রোজা রাখতে পারবে?
  • ওজন কমাবে কালো জিরা
  • হলুদ দাঁতের সমস্যা সমাধান করুন নিমিষেই
  • কিশিমিশের পানি খেলে যে উপকার পাবেন
Updated

খবর লাইভ

৫৪ বছর ভারতে আটকে আছে এই চীনা নাগরিক

31 January 2017 06:01:45 AM 170843766 ভোট:5/5 1 Comments
Star ActiveStar ActiveStar ActiveStar ActiveStar Active
৫৪ বছর ভারতে আটকে আছে এই চীনা নাগরিক

১৯৬৩ সালের জানুয়ারি মাস। তখন কিছুদিন আগেই চীন-ভারত যুদ্ধ শেষ হয়েছে। দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা তখনো চলছে।

সে সময় চীন-ভারত সীমান্তে সার্ভেয়ারের কাজ করছিলেন ওয়াং চি। উদ্দেশ্য ছিল সীমান্ত অঞ্চলে চীনের সেনাবাহিনীর জন্য রাস্তা তৈরি করা।

কাজের সময় ওয়াং চি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতীয় অংশে ঢুকে পড়েন। কিন্তু আর ফিরে যেতে পারেননি। গত ৫৪ বছর ধরে ভারতে আটকে আছেন মি: চি।

বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে মি: চি বলছিলেন, সীমান্ত অঞ্চলে কাজ করার সময় তিনি বুঝতেই পারেননি যে ভারতীয় অংশে ঢুকে পড়েছেন। এরপর তিনি পথ হারিয়ে ফেলেন।

নিজের গন্তব্য খুঁজতে দীর্ঘপথ হেঁটে ক্লান্ত এবং ক্ষুধার্ত হয়ে পড়েন মি: চি। এক পর্যায়ে রেড ক্রসের একটি গাড়ি দেখা মেলে। মি: চি তাদের কাছে সাহায্য চান। তখন রেডক্রসের কর্মকর্তারা তাকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন মি: চি অবৈধভাবে সীমানা পেরিয়ে ভারতে এসেছেন।

তারপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সাত বছর কারাগারে থাকার পর ১৯৬৯ সালে আদালত তাকে মুক্তি দেয়। কারাগার থেকে মুক্তি পাবার পর পুলিশ মি: চিকে ভারতের মধ্য প্রদেশের তিরোদি গ্রামে নিয়ে যায়।

সে থেকে ওয়াং চি সেখানেই থাকছেন। কারণ সে গ্রাম ছেড়ে যেতে তাকে অনুমতি দেয়া হয়নি।

১৯৭৫ সালে তিনি সে গ্রামের এক নারী সুশিলাকে বিয়ে করেন।

" একজন ভিনদেশীকে বিয়ে করার কারণে আমার মা-বাবা ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। প্রথম-প্রথম তার ভাষা বুঝতে অসুবিধা হয়েছিল। কয়েকমাস তাকে সহ্য করতে হয়েছে। তারপর আমি অভ্যস্ত হয়ে গেছি," মুচকি হেসে বলছিলেন সুশিলা।

প্রায় ৪০ বছর পর ২০০২ সালে ওয়াং চি তার মায়ের সাথে টেলিফোনে কথা বলেন। এর আগে চিঠিপত্র আদান-হয়েছিল। ২০০৬ সালে মি: চির মা তাকে শেষবার দেখতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু সেটি আর সম্ভব হয়নি। কারণ চীনে ফিরে যাবার জন্য তার কাছে কোন কাগজ-পত্র ছিলনা। ২০০৬ সালে তার মা মারা যান।

২০০৯ সালে ওয়াং চির ভাইপো পর্যটক হিসেবে ভারতে এসে তার সাথে দেখা করেন। পাসপোর্ট জোগাড় করার জন্য তিনি তার চাচাকে কাগজ-পত্র দিয়েছেন।


তারপর ২০১৩ সালে ভারতে চীনের দূতাবাসের তাকে পাসপোর্ট পেতে সহায়তা করে।

তবে মি: চি চীনে যেতে পারবেন কিনা সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। পারলেও তিনি আবার ভারতে ফিরে আসতে পারবেন কিনা সেটিও নিশ্চিত নয়।

মি: চি বলছিলেন, " আমি কোথায় যাব? আমার পরিবার এখানে থাকে। আমার সন্তান এবং নাতি-নাতনিরা এখানে থাকে।"

চীনে গিয়ে ৫৪ বছর পর ভাই-বোনদের সাথে দেখা করার প্রবল ইচ্ছা আছে তার। কিন্তু সেখানে যাবার পর আবার ভারতে ফিরে আসতে পারবেন কিনা সে ভাবনাও আছে মি: চির মনে।

/বিবিসি বাংলা

 

Loading...
advertisement
সর্বশেষ সংবাদ
এ বিভাগের সর্বশেষ