মালয়েশিয়ায় আবিষ্কৃত গণকবরগুলো থেকে মৃতদেহ উত্তোলনের কাজ শুরু হয়েছে। থাই সীমান্তে খুঁজে পাওয়া কবরগুলো বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অভিবাসীদের বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মালয়েশিয়ার থাই সীমান্তবর্তী এলাকার জঙ্গলে এখন পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া গেছে মোট ১৩৯টি গণকবরের। বিবিসি জানিয়েছে, মুক্তিপণের জন্য জঙ্গলের গোপন আস্তানায় পাচারকারিরা অভিবাসীদের আটকে রাখতো এবং আটককৃত অভিবাসীদের মধ্যে যারা মারা গেছেন, তাদের মৃতদেহ ওই কবরগুলোতে রয়েছে বলে ধারণা স্থানীয় প্রশাসনের। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে সমুদ্র পাড়ি দেয়া কয়েক হাজার অভিবাসীকে মাঝ সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিবাসনের উদ্দেশ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে পাড়ি দেয়া অনেকেই গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই পাচারকারীদের হাতে প্রাণ দিয়েছেন। এদিকে, ভাসমান অভিবাসীদের সাহায্যে ‘ভাসমান নৌ-ঘাঁটি’ স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে থাইল্যান্ড। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধারণা- জঙ্গলে যেসব শিবির পরিত্যাক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে, সেগুলো পাচারকারীরা পরিত্যাগ করে পালিয়ে গেছে থাইল্যান্ডে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে চলমান কঠোর অভিযান শুরু হওয়ার পর। থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে সংখলা প্রদেশে এই ধরনের অনেকগুলো গণকবরের সন্ধান পাওয়ার পর এই অভিযান শুরু করে থাই সরকার। জঙ্গলের শিবিরগুলোতে অনেক অভিবাসীকে কাঠ ও কাঁটাতারের তৈরি ‘মানব খাঁচা’য় আটকে রাখা হতো। মালয়েশিয়ার জাতীয় পুলিশ প্রধান খালিদ আবু বকর জানান, জঙ্গলে এমন অনেক চিহ্ন পাওয়া গেছে যেগুলো নির্যাতনের প্রমাণ বহন করছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অমানবিকতার এই নিদর্শনে আমরা স্তম্ভিত’।