উগ্র তাকফিরি জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশ ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ইরাক ও সিরিয়ায় অন্তত ৫২ বার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এ ছাড়া, ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুল উদ্ধারের লক্ষ্যে চলমান সেনা অভিযান ব্যাহত করার লক্ষ্যে জঙ্গি গোষ্ঠীটি সেখানে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে থাকতে পারে।
এসব কথা জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক মনিটরিং গ্রুপ ‘আইএইচএস কনফ্লিক্ট মনিটর’। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গ্রুপটি বলেছে, মসুলে সেনাবাহিনীর অগ্রাভিযান প্রতিহত করার লক্ষ্যে চালানো হামলায় ক্লোরিন ও সালফার গ্যাস মিশ্রিত অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের রিপোর্ট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং দায়েশের প্রচারণা থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে আইএইচএস। এতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী মসুল উদ্ধারে আরো বেশি সাফল্য পেলে দায়েশের পক্ষ থেকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
আইএইচএস’র পরিচালক কল্যাম্ব স্ট্র্যাক বলেছেন, এই রাসায়নিক অস্ত্রের প্রধান শিকার হবে মসুলে আটকে পড়া বেসামরিক লোকজন। তিনি বলেন, মসুল ছিল দায়েশের প্রধান রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র। তবে এ শহর উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার পর শহরটি থেকে রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদনের বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞকে সিরিয়ায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
দায়েশের হাত থেকে মসুল পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু হয়েছে গত ১৭ অক্টোবর। শহরটি দুই বছর আগে দখল করে সেখানে চরম মানবতা বিরোধী অপরাধ চালাচ্ছিল উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী দায়েশ।