ক্রপ টপের সঙ্গে হট প্যান্ট বা মিনি স্কার্ট। এই পোষাক এখন সারা বিশ্বেই যথেষ্ট ‘ইন’। কিন্তু অন্য সব দেশের সঙ্গে আরব দেশের তুলনা তো আর চলে না। সেখানে ফ্যাশন অত্যন্ত ভেবেচিন্তেই করার ফতোয়া রয়েছে নারীদের উপর। কিন্তু এক মডেল হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন সেই কথা। প্রকাশ্যেই সৌদি আরবের রাস্তায় ক্রপ টপ এবং মিনি স্কার্ট পরে ঘুরে বেরিয়েছেন তিনি। সেই ছবি স্ন্যাপচ্যাটে পোস্ট করে নিজেই নিজের কাল ডেকে আনেন ওই মডেল। গ্রেফতার করা হয় তাঁকে।সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াধের থেকে ৯৬ মাইল উত্তরে, উশাকিরের ঐতিহাসিক দুর্গের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ওই মহিলা। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে এখানেই সুন্নি ইসলামের কট্টরপন্থা ওয়াহাবি প্রথার জন্ম। এই জায়গা অত্যন্ত কট্টর বলেই পরিচিত।
সৌদি আরবে মেয়েদের জনসমক্ষে আবায়া নামের ঢিলেঢালা পোষাক পরার পাশাপাশি মাথা কাপড়ে ঢেকে রাখাটাও বাধ্যতামূলক। মহিলাদের গাড়ি চালানোও সেখানে নিষেধ। সেই দেশে ওই মডেলকে এমন পোষাক পরে হাঁটতে দেখে অনেক রক্ষণশীল মুসলিম দেশের মানুষই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়েটির নিন্দায় সরব হন। তবে অনেকেই আবার মেয়েটির পাশেও দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ও মেয়ে ইভাঙ্কা গত মে মাসেই সৌদি-সফরের সময় আবায়া বা মাথা ঢাকেননি। ফতিমা অল-ইসসা লিখেছেন, ‘‘বিদেশিনি হলে ওর কোমরের সুন্দর গড়ন ও চোখের আকর্ষণ নিয়ে প্রশস্তি হতো। সৌদি বলেই ওকে আটক করার কথা হচ্ছে।’’
هذي أسمها مودل خلود بالقرية التراثية في مدينة أشيقر بالسعودية ، بعض الناس تشوفه (حياة طبيعية) والبعض الآخر يشوفه (عهر، وفجور) ...!! pic.twitter.com/ObqEo8dKGN
— خالد عبدالعزيز