সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভারতীয় সেনাদের গুলিতে পাকিস্তানের সাত সেনা নিহত হওয়ার কয়েকদিনের মাথায় বিমান ও স্থল বাহিনীর বিশাল এ মহড়া অনুষ্ঠিত হলো। এ সময় সেখানে পাক সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরীফও উপস্থিত ছিলেন।
ভাষণে নওয়াজ শরীফ বলেন, “আজকের সামরিক মহড়ার মাধ্যমে পরিষ্কার হয়েছে যে, শত্রুর যেকোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও উন্মাদনার জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে পাক সেনারা। ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের চলমান আন্দোলন ও ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর নেয়া পদেক্ষপের সমালোচনা করে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন দমন করতে গিয়ে সেখানে হিতে বিপরীত হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। সীমান্তে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘনের জন্য তিনি ভারতকে দায়ী করেন।
নওয়াজ শরীফ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখনো ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি তার ভাষায় বলেন, পাকিস্তান হস্তক্ষেপের নীতি অনুসরণ করে না; আঞ্চলিক টেকসই স্থিতিশীলতার জন্য অন্যদেরও একই নীতি অনুসরণ করা উচিত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, শত্রুরা পাকিস্তানের উন্নয়ন সহ্য করতে পারে না বলেই তার দেশ আজ সন্ত্রাসবাদের শিকার। এ সময় কাশ্মির ইস্যুকে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার দ্বন্দ্বের মূল কারণ বলে উল্লেখ করেন নওয়াজ শরীফ।