রেফ্রিজারেটর ছাড়া সংসার যেন কল্পনাই করা যায় না। আধুনিক ও ব্যস্ত জীবনে প্রতিটি গৃহিণীর জন্য রেফ্রিজারেটর অপরিহার্য। তাই অতি প্রয়োজনীয় এই জিনিসটি ব্যবহারের পাশাপাশি দরকার এর সঠিক যত্ন নেয়া। কারণ যত্ন নিলে প্রয়োজনীয় এই যন্ত্রটি আপনি নির্ভাবনায় ব্যবহার করতে পারবেন দীর্ঘ দিন। সেই সঙ্গে খাবারও থাকবে ভালো।
বাংলামেইলের পাঠকদের জন্য এবার থাকছে রেফ্রিজারেটরের সঠিক যত্ন নেয়ার কিছু টিপস।
- মাসে দুই থেকে তিনবার রেফ্রিজারেটর পরিষ্কার করা ভালো। পরিষ্কার করার দুই থেকে তিনঘণ্টা আগে রেফ্রিজারেটর সুইচ বন্ধ রাখতে হবে। এতে ভেতরে জমে থাকা বরফ পরিষ্কার করা যাবে সহজে।
- রেফ্রিজারেটরের ভিতর জমে থাকা বরফ পরিষ্কারের বেলায় স্ক্রুডাইভার বা শক্ত জাতীয় কোনো কিছু ব্যবহার না করা ভালো। রেফ্রিজারেটরের সঙ্গে দেয়া বরফ পরিষ্কার করার চামচ দিয়ে জমে থাকা বরফ পরিষ্কার করা উচিৎ।
- বরফ গলার পর ডিপফ্রিজটি শ্যাম্পু ও ডিটারজেন্ট পাউডার মেশানো পানি অথবা লেবু মেশানো পানিতে একটি পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে বারবার মুছে পরিষ্কার করতে হবে। রেফ্রিজারেটরের বক্স, ট্রে ও অন্য জিনিসগুলো বাইরে বের করে ধুয়ে ফেলতে হবে। ফ্রিজের বাইরের অংশটুকুও ডিটারজেন্ট পাউডার অথবা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ভালোভাবে মুছতে ফেলতে হবে। এরপর পরিষ্কার কুসুম গরম পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে মুছে ফেলতে হবে।
এছাড়া রেফ্রিজারেটর ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও যেসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে-
- বাসা পরিবর্তন করতে গেলে অনেক সময় রেফ্রিজারেটর ওপর-নিচে ওঠানামা করাতে হয়। এ ক্ষেত্রে রেফ্রিজারেটর নাড়াচাড়া করার অন্তত তিন থেকে চার ঘণ্টা আগে বন্ধ করতে হবে এবং নতুন বাসায় সংস্থাপনের তিন থেকে চার ঘণ্টা পর তা চালু করতে হবে। কারণ, রেফ্রিজারেটর নাড়াচাড়া করলে কম্প্রেসারের গ্যাস ওপরে ওঠে যায়। তাই সময় নিয়ে চালু করলে কম্প্রেসারের গ্যাসের সমস্যা হয় না।
- ভোল্টেজ ওঠা-নামার সময় ঝুঁকি এড়াতে রেফ্রিজারেটরের স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহার করা ভালো।
- বারবার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করলে রেফ্রিজারেটরে সুইচ ব্ন্ধ রাখতে হবে।
- বছরে একবার বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে রেফ্রিজারেটরে পেছনে বা নিচে থাকা কয়েল পরিষ্কার করতে পারেন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার বা নরম ঝাড়ন দিয়ে কয়েলে লেগে থাকা ধুলো-ময়লা পরিষ্কার করতে পারেন।
- রেফ্রিজারেটর যেকোনো সমস্যায় কারিগরের সাহায্য নেয়া উচিৎ। এক্ষেত্রে যে কোম্পানির রেফ্রিজারেটর কিনবেন সেই কোম্পানির কারিগরই দেখানো ভালো।
ওয়ালটন শোরুমের ম্যানেজার উত্তম সরকার জানান, ‘রেফ্রিজারেটরের ভেতরে খাবার রাখার ক্ষেত্রে দুটি পাত্রের মধ্যে অন্তত তিন থেকে চার সেমি. জায়গা ফাঁকা রাখতে হবে, যাতে ঠাণ্ডা হাওয়া সহজেই চলাচল করে সব খাবারকে সমান ঠাণ্ডায় রাখতে পারে।’
তিনি আরও জানান, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সঠিক যত্ন নিলে রেফ্রিজারেটর ভালো থাকবে অনেক দিন।