আমাদের দৈনন্দিন কাজে বিশেষত রান্নার কাজ করতে গিয়ে শরীরের কোনো স্থান আগুনে পুড়ে যেতে পারে কিংবা তেল ছিটকে হাত, গলা, ঘাড়, পা ইত্যাদিতে পড়ে তা পুড়ে যেতে পারে। আর কোথাও তেলে পুড়ে গেলেই আমরা সাথে সাথেই দৌড়ে ফ্রিজের কাছে যাই আর বরফের টুকরো বের করে সেখানটায় লাগাই।
১. অ্যালোভেরা
পুড়ে যাওয়া স্থানের নিরাময়ে অ্যালোভেরার চাইতে ভালো আর কোন কিছু হতে পারেনা। খুব দ্রুত ব্যথা আর সংকোচন কমিয়েই দেয়না এটা শুধু। সেই সাথে পুড়ে যাওয়া স্থানটিকে সুরক্ষিত করে আর দ্রুত চামড়ার বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। রিডার্স ডাইজেস্টের মতে অল্প কিছুদিনের ভেতরেই আপনার পুড়ে যাওয়া চামড়াটিকে ঠিক আগের মতন করে দিতে পারে অ্যালোভেরা।
২. আলু
আলু থেতলে আলুর রস দিতে পারেন নতুবা ডিম ভেঙ্গে পোড়া জায়গাতে লাগাতে পারেন। ফোস্কা পরলে গালার চেষ্ঠা করবেন না।
৩. মিন্ট টুথপেস্ট
রান্নাঘরে হাতের কাছেই রাখুন একটি মিন্ট ফ্লেভারের টুথপেস্ট। জ্বলে যাওয়া আর পুড়ে যাওয়া চামড়ার জন্যে এটি প্রচন্ড কাজের। চামড়ায় কোন রকমের জ্বলুনি বা পোড়া হলেই প্রথমে সেখানে ঠান্ডা পানি ঢালুন এবং এরপর খানিকটা মিন্ট ফ্লেভারের টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন। আরাম পাবেন। চামড়াও সুরক্ষিত থাকবে।
৪. ভ্যানিলা
ছোটখাটো তেলে জ্বলে যাওয়া চামড়ার ক্ষেত্রে খানিকটা ভ্যানিলা কটন বাডে লাগিয়ে চামড়ায় ডলুন। ভ্যানিলার ভেতরে থাকা অ্যালকোহল আপনার চামড়ার জ্বলে যাওয়ার ব্যথাকে দূর করে দেবে। কষ্ট কম হবে।
৫. টি ব্যাগ
পিনটারেস্ট অনুসারে টি ব্যাগে ট্যানিক এ্যাসিড থাকে। আর এই ট্যানিক এ্যাসিড চামড়ার গরমকে নিজের ভেতরে শেষন করে নিয়ে পুড়ে যাওয়া জায়গাটিকে ঠান্ডা করে তোলে। ফলে ব্যাথা কমে যায় অনেকখানি। তেলের ছিটে লাগলে তাই সাথে সাথে দু-তিনটি টি ব্যাগ নিয়ে ডলুন চামড়ায়।
৬. ভিনেগার
ভিনেগারে থাকে একটিক এ্যাসিড, যেটা কিনা জ্বলে যাওয়া যায়গার চুলকানি, ব্যাথা আর প্রদাহ দূর করে। এছাড়াও এন্টিসেপটিক আর এসট্রিজেন্ট হিসেবেও এটি বেশ ভালো কাজ করে। সব ধরনের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে শরীরকে। জ্বলে যাওয়া কিংবা পুড়ে যাওয়া জায়গার তাপ কমাতেও বেশ সাহায্য করে ভিনেগার। আর তাই তেলের ছিটে লাগলে তুলোয় ভিনেগার মিশিয়ে জায়গাটিতে বুলিয়ে নিন।
৭. দুধ এবং মধু
প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে মধুর কোন বিকল্প নেই। হাব পেজেস অনুসারে ক্ষতস্থানের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে দূর করাসহ ব্যাথা কমাতেও সাহায্য করে মধু। নিজের স্নেহ আর প্রোটিনের মাধ্যমে দুধও একই কাজ করে। আর তাই ক্ষতস্থানে মধু লাগিয়ে নিন। আর দুধ লাগালে সেটা রেখে দিন ১৫ মিনিট অব্দি।
৮. তেল
তেলের ছিটে লাগা স্থানের জন্যে তেল বেশ উপকারী একটি জিনিস। বিশেষ করে সেটা যদি হয় নারকেল তেল। নারকেল তেলে রয়েছে ভিটামিন ই আর ফ্যাটি এ্যাসিড। যেটা কিনা ফাঙ্গাস আর ব্যাকটেরিয়া থেকে দূরে রাখে সংক্রমণস্থলকে। শুধু তাই নয়, ক্ষতস্থানে কোনরকম দাগ থেকে গেলে সেটাকে দূর করতেও নারকেলের জুড়ি নেই। সেজন্যে কেবল নারকেল তেলের সাথে খানিকটা লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন দাগের ওপরে লাগাতে হবে। তবে নারকেল তেল ছাড়াও ল্যাভেন্ডার তেল কিংবা চা গাছের তেলও এক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে।
৯. ডিমের সাদা অংশ
শরীরের যে স্থানে পুড়ে গেছে সেখানে ডিমের সাদা অংশ দিন।