১. রসুন: এবার থেকে যখনই আক্কেল দাঁতের যন্ত্রণা শুরু হবে, তখনই এক কোয়া রসুন নিয়ে চিবতে শুরু করে দেবেন। দেখবেন নিমেষে কষ্ট কমে যাবে। কারণ এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান যে কোনো ধরনের প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে পুনরায় যাতে এমন কষ্ট না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখে।
২. নুন: দুটো রসুনের কোয়া থেঁতো করে তার সঙ্গে অল্প করে নুন মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এবার সেই পেস্টটা ভাল করে আক্কেল দাঁতের উপর লাগিয়ে দিন। আর যদি এমনটা করতে না পারেন তাহলে পেস্টটি ব্রাশে লাগিয়ে দাঁত মেজে নিন। দেখবেন যন্ত্রণা কমে যাবে। প্রসঙ্গত, ১ কাপ গরম জলে ১ চামচ নুন মিশিয়ে সেই জল দিয়ে কুলি করলেও এক্ষেত্রে দরুন আরাম পাওয়া যায়।
৩. পেঁয়াজ: আক্কেল দাঁতকে কাবু করতে পেঁয়াজ দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে অল্প করে পেঁয়াজ চিবিয়ে নিতে পারেন অথবা আক্কেল দাঁতের উপর রেথে দিলেও দারুন উপকার মেলে। আরেকভাবে পেঁয়াজকে কাজে লাগিয়ে এমন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। কীভাবে? পরিমাণ মতো পেঁয়াজ নিয়ে তার থেকে রসটা সংগ্রহ করে নিন। তারপর সেই রসটা আক্কেল দাঁতের উপর ধীরে ধীরে লাগিয়ে দিন। এমনটা করলে দেখবেন চোখের পলকে কষ্ট কমে যাবে।
৪. টি-ট্রি অয়েল: একটা তুলোতে অল্প করে এই তেলটি নিয়ে দাঁতের উপর ৫ মিনিট লাগিয়ে রাখলেই যন্ত্রণা কমে যাবে। কারণ এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান নিমেষে প্রদাহ কমিয়ে ফেলে। ফলে কষ্ট ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে।
৫. পেয়ারা পাতা: যারা এখনও ঠাকুমা-দাদুর সঙ্গে থাকেন, তারা এই ঘরোয়া পদ্ধতিটির সঙ্গে বেশ ভাল রকমভাবে পরিচিত। কারণ আগেকার দিনে দাঁতে ব্যথা হলেই পেয়ারা পাতা চিবোনোর পরামর্শ দিতেন বড়রা। এই সহজ পদ্ধতিটিকে আজকাল আর কেউ কাজে লাগান না। কিন্তু বিশ্বাস করুন, পেয়ারা পাতায় উপস্থিত অ্যানালজেসিকস নামে একটি উপাদান চোখের পলকে যন্ত্রণা তো কমায়ই, সেই সঙ্গে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদেরও মেরে ফেলে। ফলে শুধু আক্কেল দাঁতের সমস্যা নয়, সেই সঙ্গে আরও অনেক দাঁত সম্পর্কিত রোগ সেরে যায়।
৬. লবঙ্গ: প্রাকৃতিক পেনকিলার হিসেবে বেশ সুখ্যাতি রয়েছে লবঙ্গের। তাই তো অক্কেল দাঁতের ব্যথায় এবার থেকে যখন আক্কেল গুড়ুম হওয়ার জোগার হবে, তখন অল্প করে লবঙ্গ নিয়ে দাঁতের ফাঁতে রেখে দেবেন। এমনটা করলেই দেখবেন পলকে কষ্ট কমে যাবে। আসলে এতে উপস্থিত ইউজেনল নামে একটি উপাদান সঙ্গে সঙ্গে ব্যথা জায়গাকে অসার করে দেয়। ফলে যন্ত্রণা যে হচ্ছে তার মালুমই পাওয়া যায় না। প্রসঙ্গত, এমন ক্ষেত্রে লবঙ্গ তেল ব্যবহার করলেও সমান উপকার পাওয়া যায়।
৭. অ্যারেগেনো তেল: যন্ত্রণা কমাতে এই তেলটির কোনও বিকল্প নেই। এটি আক্কেল দাঁতের যন্ত্রণা কমানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৮. হুইটগ্রাস: মুখ গহ্বরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া এবং টক্সিক উপাদানদের সমূলে খতম করে দিয়ে যন্ত্রণা এবং প্রদাহ কমাতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি দারুন কাজে আসে। প্রসঙ্গত, জুস হিসেবে অথবা কাঁচা অবস্থাতেও হুইটগ্রাস খেতে পারেন, একই উপকার পাবেন
৯. পিপারমেন্ট তেল: এবার থেকে এমন যন্ত্রণা হলেই কয়েক ফোঁটা পিপারমেন্ট তেল ফেলে দেবেন দাঁতের উপর। তাহলেই কষ্ট এবং ব্যথা একেবারে কমে যাবে। আর যদি হাতের কাছে এই তেল না পান, তাহলে কয়েকটা পিপারমেন্ট পাতা নিয়ে চিবিয়ে নিলেও সমান উপকার মিলবে।
১০. সেগে শাক: প্রদাহ এবং যন্ত্রণা কমাতে এই শকটি দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে ২ চামচ শুকনো সেগে শাকের পাতার সঙ্গে ১ চামচ নুন মিশিয়ে নিনি। তারপর এই মিশ্রনের সঙ্গে অল্প করে ভদকা মিশিয়ে নিন। এবার সেটি আক্কেল দাঁতের উপর ৫ মিনিট ধরে লাগান। এমনটা করলেই দেখবেন অল্প সময়েই যন্ত্রণা কমে যাবে।