পরিমিত ও উপযুক্ত খাদ্যাভ্যাসে মানুষের দেহ, মন এবং মস্তিষ্ক সচল থাকে। অপরদিকে অপরিকল্পিত খাদ্যাভাসে দেহের ক্ষতি হয় প্রতিনিয়ত। ভালো-মন্দের বিচার না করে আমরা মুখরোচক সব খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়ি। এই খাবারগুলো ক্ষণিকের ভালোলাগা তৈরি করে। অথচ এগুলোই আমাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। সেই সঙ্গে দিনের পর দিন আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই আপনার বুদ্ধিমত্তাকে সজীব রাখতে কিছু খাবার সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি এখনি। যেমন-
চিনি সমৃদ্ধ খাবার
অনেকেই মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন। খাবারের পর একটু মিষ্টি না হলে যেন চলেই না। এমনকি বাচ্চারাও ক্যান্ডি এবং মিষ্টি অনেক বেশি পছন্দ করে। গবেষকদের মতে ‘কোনো কিছু শেখার ক্ষমতা এবং স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে এই চিনি ও ফ্রুক্টোজ। তাই বুদ্ধিমত্তা কমানো রোধে অধিক চিনি সমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।
ফাস্ট ফুড
মুখরোচক হওয়াই বেশির ভাগ মানুষ ফাস্ট ফুড খেতে পছন্দ করেন। এই ফাস্ট ফুড সত্যিই আমাদের মস্তিষ্ক এবং বুদ্ধিমত্তার জন্য অনেক ক্ষতিকর। প্রায় ৪ হাজার বাচ্চার ওপর গবেষণা করে ব্রিটিশ স্টাডিজ তাদের রিপোর্টে বলেন, ‘যে বাচ্চারা প্রায় প্রতিদিন এবং বেশিরভাগ সময় ফাস্ট ফুড খায় তাদের আইকিউ লেভেল একজন সাধারণ বাচ্চার তুলনায় অনেক কম’। তাই বাচ্চাদের পাশাপাশি বড়দেরও ফাস্ট ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
মাখন
কেউ কেউ সকালের নাস্তায় স্বাদ বাড়াতে পাউরুটির ওপর মাখন খেয়ে থাকেন। কিন্তু এই মাখন আমাদের বুদ্ধিমত্তার জন্য অনেক বেশি হুমকি স্বরূপ। তাই সবসময় এসব খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।
পরিপাকযোগ্য চর্বিযুক্ত খাবার
পরিপাকযোগ্য চর্বিযুক্ত খাবার খেলেও মস্তিষ্কের চিন্তা করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। গবেষকরা দেখিয়েছেন, যারা পরিপাকযোগ্য চর্বিযুক্ত খাবার বেশি খান তাদের চিন্তাশক্তি ও স্মৃতিশক্তি যারা কম পরিপাকযোগ্য চর্বিযুক্ত খাবার খান তাদের তুলনায় অনেক কম।
টিনজাত খাবার
কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই টিনজাত খাবারের উপর ভরসা করে থাকেন। কিন্তু এই খাবারগুলোতে উচ্চমাত্রার কৃত্রিম রঙ ও ফ্লেভার, চর্বি ও লবণ রয়েছে যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিস্টলের গবেষকরা বলেছেন, যারা এই ধরণের খাবার বেশি খান তাদের আইকিউ লেভেল অনেক নিচু থাকে। এমনকি এই খাবারগুলো দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও নষ্ট করে।
তাই মস্তিষ্কের সুস্থতা ও বুদ্ধিমত্তাকে ঠিক রাখতে এ খাবারগুলো এড়িয়ে চলা আবশ্যক।