এইমাত্র পাওয়া

  • কাপ জিতেই ছাড়ব, জন্মদিনে শপথ মেসির
  • প্রাথমিকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জুলাইয়ে, থাকছে ৬০% নারী কোটা
  • ঝালকাঠিতে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ধ্রুবতারা’র দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠান
  • ঝিনাইদহে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার
  • দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে
  • ফাঁটা পায়ের যত্নে কিছু পরামর্শ !!
  • ডায়াবেটিস রোগীরা কি রোজা রাখতে পারবে?
  • ওজন কমাবে কালো জিরা
  • হলুদ দাঁতের সমস্যা সমাধান করুন নিমিষেই
  • কিশিমিশের পানি খেলে যে উপকার পাবেন
Updated

খবর লাইভ

মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর

০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:০৯:২০ পিএম 16998148 ভোট:5/5 1 Comments
Star ActiveStar ActiveStar ActiveStar ActiveStar Active
মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে মানবতাবিরোধী অভিযোগে ষষ্ঠ ব্যক্তির সর্বোচ্চ সাজার রায় কার্যকর হল। এর আগে জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ, মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ও আবদুল কাদের মোল্লা এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের রায় কার্যকর করা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ জেল  সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক সাংবাদিকদের জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ১০ মিনিট পর অর্থাৎ ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে কাসেম আলীর দেহ ফাঁসির মঞ্চ থেকে নামানো হয়।

দণ্ড কার্যকরের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই মীর কাসেম আলীর লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনটি অ্যাম্বুলেন্স কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে রাখা হয়। তার কফিন নিয়ে যাওয়া হবে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার চালা গ্রামে। সেখানেই পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

এর আগে বিকেলে পরিবারের সদস্যরা শেষ সাক্ষাৎ করতে যান মীর কাসেম আলীর সঙ্গে। পরিবারের সদস্যরা কারাগারে থাকা অবস্থাতেই সেখানে প্রবেশ করেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন, তার আগে প্রবেশ করেন কারা উপমহাপরিদর্শক গোলাম হায়দারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এর পাশাপাশি কারাগার এলাকায় নেয়া হয় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। নিয়ন্ত্রণ করা হয় ওই এলাকার যান চলাচল। তার পরই গাজীপুর ও ঢাকায় মোতায়েন করা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের। তারপর একে একে কারাগারে প্রবেশ করেন ইমাম, জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাহী হাকিম ও সিভিল সার্জন। কোনো ফাঁসির রায় কার্যকরের সময় কারাগারে এসব সরকারি কর্মকর্তাই উপস্থিত থাকেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর দুটি অভিযোগে মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে ৮ মার্চ আপিল বিভাগ কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসীম উদ্দিন হত্যা সংক্রান্ত একটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে একটি রিভিউ আবেদন করেন মীর কাসেম আলীর আইনজীবীরা। গত রোববার সেই আবেদনের শুনানি শেষ হয় এবং মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয়।

রিভিউ খারিজ হওয়ায় মীর কাসেম আলীর সামনে কেবল প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনের সুযোগ ছিল। কিন্তু গতকাল (শুক্রবার) মীর কাসেম আলী প্রেসিডেন্টের কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন না বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন। এরপরই ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয়া হয়।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ জুন মতিঝিলে দৈনিক নয়াদিগন্ত কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয় মীর কাসেম আলীকে। 

Loading...
advertisement
সর্বশেষ সংবাদ
এ বিভাগের সর্বশেষ