বিবাহ বহির্ভূত ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ এবং উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের ‘প্রেম থামাতে’ শুধু ব্যাতিক্রমি নয় অদ্ভুত এক আইন চালু হলো এবার। আইন অনুযায়ী রাত ন’টার পর প্রেমিক-প্রেমিকা অথবা যুগলকে দেখলেই সরকারী আইনশৃংখলা বাহিনীর মাধ্যমে জোর করেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে তাঁদের।বেশ আগে থেকেই ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন শহরে এমন কঠোর অবস্থা ছিলো। তবে এতকাল সেটা ছিলো অঘোষিত। আর এই দফা বেশ জোড়ে-সোড়েই এমন অদ্ভুতুরে আইন বাস্তবায়ন করতে মাঠে নেমেছে ইন্দোনেশিয়ার একটি বড় জেলা শহর।
একটি বেসরকারি সংবাদ সংস্থার বরাত দিয়ে দ্যা ট্রিবিউন এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার প্ররুয়াকারতা জেলায় সম্প্রতি বেশ ঘোষণা দিয়েই এমনই আইন চালু হয়েছে।
আইনে বলা হয়েছে, রাত ৯টার পর যদি কোনও জুটিকে একসঙ্গে বাইরে দেখা যায়, তবে তাদের বিয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি আইন অনুযায়ী রাত ৯টার পর কোনও অবিবাহিত পুরুষ যদি কোনও বান্ধবীর বাড়িতে রাত কাটান, তাঁদেরও বিয়ে দিয়ে দেওয়া হবে।
প্ররুয়াকারতার জেলা প্রশাসক দিয়াদি মালিদি বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমটি জানিয়েছে , ‘ যে গ্রামে আইনটির বাস্তবায়ন হবে না সে গ্রামে সরকারি ভাতা দেওয়া বন্ধ করা হবে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, কোনও যুবক যদি তার আত্মীয় নন এমন মহিলার বাড়িতে রাত কাটাতে চান, তবে তাঁকে অবশ্যই শনাক্তকরণ কার্ড সংগ্রহ করতে হবে’।
তবে এমন আইনটির সমালোচনায় ইন্দোনেশিয়ার অনেক তরুন-তরুনী প্রতিবাদে মুখর । তারা এই আইনকে অদ্ভুতুরেই বলছেন। তাদের দাবী শৃংখলার জন্যই যদি এমনটা করা হচ্ছে তাহলে একেবারে বিয়ে কেন? প্রাথমিক ভাবে নাহয় সতর্ক করতে পারে। তাছাড়াও তাদের দাবী, স্কুল- কলেজ পড়ুয়া অনেকের ছেলে-মেয়েতে বন্ধুত্ব থাকে, বিভিন্ন প্রয়োজনে একটু দেরি হতেই পারে । কিন্তু ঘটনাক্রমে সেসব ক্ষেত্রেও নাকি হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে অনেককেই।
সূত্রঃ এখানে