শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ঘাটে রো-রো ফেরি বন্ধ থাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষকে বিকল্প পথে ঘাট পারাপারের আনুরোধ জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার এই আহবান জানিয়ে শিমুলিয়াস্থ বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ নেওয়াজ খালেদ জানান, ঘাটে ঘরমুখো মানুষের প্রচন্ড চাপ রয়েছে। এর উপর নাব্যতা সংকটে বৃহস্পতিবার রাত থেকে রোরো ফেরিগুলো ঠিকমত চলতে পারছিল না। চ্যানেলে এখন সাড়ে ৫ থেকে ৬ ফিট পানি রয়েছে। যেখানে রো রো ফেরি চলতে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ফিট পানি লাগে। এজন্য আজ শুক্রবার দুপুরে পানি আরও কমে গেলে ফেরিগুলো বন্ধ করে দিতে হয়। তিনি বলেন, নদীতে তীব্র স্রোত ও বাতাসের কারণে এমনেতেই ফেরিগুলোর চলতে সময় বেশি লাগছিল তার সাথে এখন যোগ হয়েছে নাব্যসংকট। তারপরও যাত্রীদের পারাপারের সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। গাড়ি পারাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। এখন ১৪টি ফেরি চলছে।
শুক্রবার ভোর থেকেই ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ঘাটে। ফেরি, লঞ্চ আর স্পিডবোটে করে ঘরে ফিরছে হাজার হাজার মানুষ। লঞ্চ ও স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ছেড়ে যেতে দেখা গেছে। জানাগেছে, ঘাটে ৮৭ টি লঞ্চ এবং তিনশতাধিক স্পিডবোটে দিয়ে পার করা হচ্ছে যাত্রীদের। ঘাট এবং ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে জেলা পুলিশের সাড়ে ছয়শ’ সদস্য কাজ করছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম জানান, ঈদ ঘরমুখো যাত্রীদের নৌরুট দিয়ে নির্বিঘ্ন পারাপারের জন্য শিমুলিয়া ঘাটে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য, র্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার, কমিউনিটি পুলিশ কাজ করছে। চাপ বেশী থাকলেও সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।