উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। সোমবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ডিমলা উপজেলার ডালিয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে নদীর পানির বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোড সূত্র জানায়, উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সোমবার সকাল ৬টায় তিস্তা সেচ প্রকল্পের ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্ট বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর সকাল ৯টায় আরো দুই সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছচাপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমু-া, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের পশ্চিম বাইশপুকুর, পূর্ব বাইশপুকুর, সতিঘাট গ্রামের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, রোববার রাতে নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। পানি বৃদ্ধির ফলে ইউনিয়নের ঝাড়শিংহেশ্বর, পূর্বছাতনাই গ্রামের ৭শতাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান বলেন, সোমবার সকাল ৬টায় নদীর পানি বিদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর সকাল ৯টায় আরেক দফা বেড়ে বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সবকটি (৪৪) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম সোমবার সকালে ডিমলা উপজেলার তিস্তাতীরবর্তী বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।