ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে গেল ইংল্যান্ড। ব্যাটে বলে কামাল দেখিয়ে আনপ্রেডিক্টেবল পাকিস্তান ২১১ রান তাড়া করে ৮ উইকেটে জিতে চলে গেল ফাইনালে। বৃহস্পতিবারের সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে হারাতে পারলে রবিবার ফাইনাল হবে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। এদিন টসে জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করতে পাঠান পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ। শ্রীলঙ্কা ম্যাচে যে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে পাক দল, এদিন যেন তারই প্রতিফলন দেখা গেল পাকিস্তানি ব্যাটিং-বোলিংয়ে।
প্রথমে ব্যাট করে ৬ ওভারের মধ্যেই প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। অ্যালেক্স হেলস ১৩ রান কের ফেরেন। জেসন রয়ের জায়গায় ওপেন করতে নামা জনি বেয়ারস্টো ৪৩ করে ফেরেন। এরপরও ছোট ছোট পার্টনারশিপ গড়ে ইংল্যান্ড এগোচ্ছিল। জো রুট (৪৬), ইয়ন মর্গ্যান (৩৩), বেন স্টোকসরা (৩৪) রান পেলেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। পাকিস্তান বোলাররাও নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিয়ে যাচ্ছিল। তবে তারপরে আর কেউ নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। শেষদিকে জস বাটলার (৪), মঈন আলি (১১), আদিল রশিদ (৭), লিয়াম প্ল্যাঙ্কেট (৯) কেউ পাক বোলারদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। ফলে ৪৯.৫ ওভারে মাত্র ২১১ রানে শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে ভালো বোলিং করেন হাসান আলি। ৩৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া জুনেইদ খান, রুমান রইস ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া শাদাব খান ১টি উইকেট নেন। এত কম রানের স্কোর তাড়া করতে নেমে পাকিস্তান তাড়াহুড়ো করেনি। দুই ওপেনার আজহার আলি ও ফকর জামান অনবদ্য শুরু করেন। আজহার ৭৬ ও ফকর জামান ৫৭ রান করে ফেরেন। তিন নম্বরে নামা বাবর আজম ও চার নম্বরে নামা মহম্মদ হাফিজ এরপরে খেলা শেষ করে ফেরেন।