মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদসহ সকল ধর্মের প্রধান উৎসবের ছুটি বাড়ানো হচ্ছে। সেই হিসাবে ঈদের ছুটির মতো হিন্দু ধর্মের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজা, খ্রিস্টানদের বড়দিন এবং বৌদ্ধদের উৎসব বুদ্ধপূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে সরকারি ছুটি বাড়বে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ক নির্দেশনা দিয়েছেন। গতকালই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনাটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পৌঁছেছে। এর আগেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মুসলমানদের বড় দুই ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার ছুটি দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছিল।
জানা গেছে, দুই ঈদে প্রচলিত ছুটির সঙ্গে অতিরিক্ত তিন দিন বাড়িয়ে মোট ছয় দিন করার সুপারিশ করা হয়। ছুটিগুলো সরকারি কর্মচারীদের নৈমিত্তিক ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এই প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় নীতিগতভাবে একমত পোষণ করে।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়, শুধু ঈদ নয়, ছুটি বাড়াতে হলে সকল ধর্মের মূল উৎসবের ছুটি বাড়বে। কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রস্তাবনা পাঠাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, সকল ধর্মের প্রধান উৎসবের ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
বাড়তি এই ছুটি আসন্ন ঈদুল ফিতরেই কার্যকর হবে কি না এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, সামনের ঈদুল ফিতর থেকেই ছুটি কার্যকর হতে পারে। কেননা প্রস্তাবনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একমত। অতি দ্রুত আমরা প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেব।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুইডেন থেকে ফিরে যদি প্রস্তাবটি অনুমোদন করেন তাহলে সেটি ১৯ জুন মন্ত্রিসভার পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। মন্ত্রীসভায় প্রস্তাবটি অনুমোদন হলেই এ বছরই বর্ধিত ছুটি কার্যকর হবে।
- খবর ২৪ লাইভ নিউজপেপার