ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পরপর তিনটি ম্যাচ জিতল ইংল্যান্ড। সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেও বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে অস্ট্রেলিয়াকে ৪০ রানে হারিয়ে দিল ইয়ন মর্গ্যানের দল। আর সেই সুযোগে গ্রুপ এ-র দ্বিতীয় দল হিসাবে সেমিফাইনালে চলে গেল বাংলাদেশ। এজবাস্টনে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। ভদ্রস্থ শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। তবে বোর্ডে ৪০ রান উঠতে না উঠতেই ২১ রানে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপরে দ্বিতীয় উইকেটে অ্যারন ফিঞ্চ ও স্টিভ স্মিথ ভালো পার্টনারশিপ গড়েন। ফিঞ্চ ৬৮ ও স্মিথ ৫৬ রান করে আউট হন। অস্ট্রেলিয়াকে হারাল ইংল্যান্ড, সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
মিডল অর্ডারে ট্রাভিস হেড অনবদ্য ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তবে মোয়েস এনরিকেস (১৭) ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (২০) সেভাবে রান পাননি। সবমিলিয়ে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের হয়ে মার্ক উড ও আদিল রশিদ ৪টি করে উইকেট নেন। রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড প্রথমেই ধাক্কা খায়। মাত্র ৬ রানের মধ্যে জেসন রয় (৪) ও অ্যালেক্স হেলসের (০) উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপরে জো রুটও মাত্র ১৫ রান করে আউট হন। ফলে মাত্র ৩৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ইংরেজ ব্যাটিং।
এখান থেকে খেলা ধরেন অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান ও বেন স্টোকস। দুজনে মিলে ১৫৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে খেলা থেকে ছিটকে দেন। মর্গ্যান ৮৭ রান করে আউট হলেও বেন স্টোকস অপরাজিত থেকে অনবদ্য শতরান করেন। জস বাটলারকে (২৯) সঙ্গে নিয়ে তিনি ইংল্যান্ডকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে ৪০.২ ওভারের মাথায় বৃষ্টি নামে। তখনও জেতার জন্য ৩৮ রান বাকী ছিল। তারপর আর খেলা শুরু করা যায়নি। ফলে শেষপর্যন্ত নিয়মানুযায়ী ৪০ রানে ম্যাচ হারতে হল অস্ট্রেলিয়াকে। এদিন অস্ট্রেলিয়া হারায় গ্রুপ এ-র দ্বিতীয় দল হিসাবে ৩ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া তিন ম্যাচে ১টিতে হেরে বাকী দুটি ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি হওয়ায় টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল।