১। হজমে সাহায্য করে
তেঁতুল জোলাপ হিসেবে বা কোষ্ঠ পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে যা ঐতিহ্যগত ভাবে ব্যবহার হতে আসছে। শিশুদের অন্ত্রের কৃমি নিরাময়ে সাহায্য করে তেঁতুল। তেঁতুল ফাইবারে সমৃদ্ধ বলে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। পিত্ত রোগ ও এসিড রিফ্লাক্সের মত পেটের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। আমাশয় ও ডায়রিয়া নিরাময়ে সাহায্য করে তেঁতুলের লালচে খোসা। তেঁতুলের আঠালো মজ্জা নন-স্টার্চ পলিস্যাকারাইড বা ডায়াটারি ফাইবারের চমৎকার উৎস যা হজমে সাহায্য করে।
২। কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
তেঁতুলে টারটারিক এসিড থাকে যা ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে দেহকে রক্ষা করার মাধ্যমে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাছাড়া তেঁতুলে উপস্থিত ফাইবার কোলনের ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিককে প্রতিহত করার মাধ্যমে কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৩। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
দেহে তরলের ভারসাম্য রক্ষা করার মাধ্যমে রক্তচাপ ও হার্ট রেট নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে তেঁতুলে উপস্থিত পটাসিয়াম। তেঁতুলে আয়রন থাকে যা লাল রক্ত কণিকার স্বাভাবিক উৎপাদন ও উন্নয়নে সাহায্য করে।
৪। কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা করে
রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে তেঁতুলের মজ্জা। এই ফলটি হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং কার্ডিয়াক জটিলতার ঝুঁকি কমতে সাহায্য করে।
৫। চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
তেঁতুল ভিটামিন এ তে ভরপুর যা স্বাভাবিক দৃষ্টির জন্য অত্যাবশ্যকীয় এবং বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। তাছাড়া তেঁতুলে এমন এক ধরণের রাসায়নিক থাকে যা মিউসিনের মত কাজ করে। মিউসিন কর্নিয়ার সুরক্ষা ও আর্দ্রতা প্রদান করে। ১ গ্লাস পানিতে ১ চামচ তেঁতুল ফুটিয়ে ক্বাথ তৈরি করে পান করলে চোখের প্রদাহ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৬। ইনফেকশন থেকে সুরক্ষা দেয়
স্কার্ভি, সাধারণ ঠান্ডা ও ফ্লোরোসিসের মত সংক্রামক রোগ থেকে সুরক্ষা প্রদান করে তেঁতুল। তেঁতুল শুধু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে সুরক্ষাই প্রদান করেনা বরং জ্বর নিরাময়েও সাহায্য করে। ১০০ গ্রাম তেঁতুলে দৈনিক চাহিদার ৩৬% থায়ামিন, ৩৫% আয়রন, ২৩% ম্যাগনেসিয়াম এবং ১৬% ফসফরাস পূরণ করতে সক্ষম।
৭। ত্বকের জন্য উপকারী
ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তেঁতুলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও ফাইন লাইন ও বলিরেখা কমতে সাহায্য করে তেঁতুল। হালকা পোড়া নিরাময়েও সাহায্য করে তেঁতুল।
৮। ওজন কমাতে সাহায্য করে
তেঁতুলে একটি অনন্য উপাদান হাইড্রোক্সিসাইট্রিক এসিড থাকে যা ওজন কমার সাথে সম্পর্কিত কারণ এটি ফ্যাট জমা করার এনজাইমের কাজে বাধা দেয়। এছাড়াও তেঁতুল সেরেটোনিন নিউরোট্রান্সমিটার বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ক্ষুধা কমতে সাহায্য করে।
৯। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ওজন বৃদ্ধিতে বাঁধা দেয়ার পাশাপাশি আলফা অ্যামাইলেজ এনজাইম কার্বোহাইড্রেট শোষণেও বাঁধা দেয় যা খুব সহজেই চিনি বা ফ্যাটে রুপান্তরিত হয়। অনেক বেশি পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ গ্লুকোজ ও ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে যা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মানুষদের প্রধান সমস্যা। তেঁতুল গ্লুকোজ ও ইনসুলিনের মাত্রা উঠা-নামা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।