যা যা লাগবে-
(১) আলু
আলুতে রয়েছে ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, নায়াসিন এবং জিংক এর মতো চুলের গ্রোথ বৃদ্ধিতে সহায়ক উপাদান। যা চুলের গ্রোথ বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(২) পেঁয়াজ
পেঁয়াজে রয়েছে মিনারেলস এবং নিউট্রেশন। পেঁয়াজে বিদ্যমান সালফার কোলাজেন টিস্যু তৈরিতে সাহায্য করে হেয়ার গ্রোথকে প্রোমোট করে। এটি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।
যেভাবে তৈরি করবেন
- আলু এবং পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার এগুলোকে ছোট ছোট টুকরা করে নিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
- ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে মিশ্রণটিকে একটি ছাঁকনির সাহায্যে জুসটা ছেঁকে নিন। এই জুসটাই আপনার হেয়ার গ্রোথ মাস্ক।
হেয়ার মাস্ক দুই
যা যা লাগবে-
(২) গাজর
গাজরে রয়েছে নিউট্রিয়েন্টস, ভিটামিন এ, কে, সি, বি১, বি৩, বি৬, বি২, ফাইবার, পটাশিয়াম, ফসফরাস যা, চুলের বৃদ্ধির জন্যে খুবই উপকারী। এছাড়াও গাজর স্কাল্পের ব্লাড সার্কুলেশন বৃদ্ধি করে, চুলকে সফট বানিয়ে দেয়, চুলের ড্যামেজ দূর করে, চুল ভেঙে যাওয়া রোধ করে।
যেভাবে তৈরি করবেন
- গাজর ছোট ছোট টুকরো করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এর জুসটা ছাঁকনীর সাহায্যে ছেঁকে নিন।
ব্যবহারবিধি-
- এই ২ টি হেয়ার মাস্কই জুস কন্সেস্টেন্সির। তাই এগুলো একই নিয়মে ব্যবহার করতে হবে। আপনার সুবিধা অনুযায়ী যে কোনো একটি মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তবে প্রত্যেকটি মাস্কই কার্যকরী।
- একটি কটন বল নিয়ে হেয়ার গ্রোথ মাস্কটির মধ্যে চুবিয়ে নিন।
- এই কটন বলটি চুলের গোড়ায় সিঁথি কেটে কেটে লাগান।
- আপনি চাইলে, জুসটা যে কোনো স্প্রে বোতলে ভরে চুলের গোড়ায় স্প্রে করে নিতে পারেন।
- ৪০ মিনিট রেখে চুল শ্যাম্পু করে নিবেন।
- সপ্তাহে ৩ দিন এই মাস্ক ব্যবহার করুন।
কিছু কথা
হেয়ার গ্রোথ মাস্কগুলো ২/১ বার ব্যবহার করে অনেকেই বলতে পারেন যে, কোনো কাজ হচ্ছে না।
এর কারণ, হেয়ার গ্রোথ মাস্কগুলোর ফলাফল পেতে একটু সময় লাগে। তাই সময় এবং ধৈর্য নিয়ে ১-২ মাস ব্যবহার করুন। আশা করছি, ফল পাবেনই।