১) দিনে অন্তত দু‘বার করে গোসল করুন : যদি পারেন দিনে তিনবার গোসল করলেও ক্ষতি নেই । মাথা না ভেজালেও চলবে অন্তত গা ধোয়ার চেষ্টা করুন । এইভাবে আপনার ত্বক পরিষ্কার থাকবে এবং ব্যাকটেরিয়াও জমা হতে পারবে না । একই সঙ্গে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান আর বডি ওয়াশ ব্যাবহার করুন ।
২) নিয়মিত ত্বক এক্সফলিয়েট করুন : সারাদিন শরীর ঘামে ভিজে থাকলে গায়েও অ্যাকনে হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা বেড়ে যায় । আমাদের শরীর থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি মরা কোষ বেরোয় । আর এই মরা কোষ খাবার হিসেবে ব্যবহার করে মাইক্রো অর্গানিজমস । এর থেকে গায়ে গোটা বেরোতে পারে আবার অ্যাকনেও হতে পারে । তাছাড়াও ধুলো ময়লাও ত্বকেও ওপর জমা হয়‚ ফলে ত্বকের মুখ বন্ধ হয়ে যায় । তাই নিয়মিত এক্সফলিয়েশন করাটা খুব জরুরী । সপ্তাহে অন্তত তিনবার সারা শরীর স্ক্রাব করুন ।
৩) ত্বক শুকনো রাখুন : আমাদের শরীরের কয়েকটা জায়গায় sweat gland বেশি পরিমাণে থাকে যেমন কপাল‚ genital area‚ পিঠ এবং বগল । তাই আপনি যদি অ্যাকনে বা body rash দূরে রাখতে গোসল তাহলে শরীরের এই জায়গাগুলো শুকনো রাখা অত্যন্ত জরুরী । গোসল করে ভালো করে শুকনো করে গা মুছুন । এছাড়াও ঘাম হলে কোন পরিষ্কার সুতির কাপড় দিয়ে গা মুছে নিন । মুখের জন্য ব্যবহার করুন ওয়েট টিস্যু । এছাড়াও গায়ে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল পাউডার লাগান । অত্যধিক ঘাম হওয়ার সমস্যা থাকলে অবশ্যই একজন স্কিনের ডাক্তারের পরামর্শ নিন ।
৪) লুজ ফিটিং‚ সুতির তৈরি পোশাক পরুন : লুজ ফিটিং এবং সুতির তৈরী পোশাক পরলে আপনার ত্বক শ্বাস নিতে পারবে । এছাড়াও ঘাম তাড়াতাড়ি শুকিয়েও যায় এই ধরণের পোশাক পরলে । আপনার শরীর আর পোশাকের মধ্যে যত ভালো হওয়া চলাচল করবে তত কম ব্যাকটেরিয়া জমা হবে ত্বকের ওপর । গায়ে ঘামের গন্ধও কম হবে । যাদের ঘরের বাইরে কাজ করতে হয় তাদের জন্য এটা মেনে চলা কিন্তু খুব জরুরী ।
৫) যতটা পারবেন ভাজাভুজি আর জাঙ্ক খাবার এড়িয়ে চলুন : যে সব খাবারে ট্রান্স ফ্যাট থাকে এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট যুক্ত‚ সেসব খাবার এড়িয়ে চলুন । ভাজাভুজি‚ মশলাদার খাবার এবং যে খাবারে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে সেই সব খাবার সহজে হজম করা যায় না । এর ফলে ব্রণ‚ সারা গায়ে গোটা বেরোতে পারে । এই সব খাবারের পরিবর্তে তাজা ফল এবং সব্জি খাওয়ার চেষ্টা করুন ।