রান্নায় ও সালাদে
ধানের তুষের একটি স্তরে পাওয়া যায় তেল, যা রাইস ব্র্যান অয়েল নামে পরিচিত। এর স্বাদ ও গন্ধ পরিমিত। এটি উচ্চ তাপের রান্নায় যেমন ব্যবহার করা যায় তেমনি সালাদেও ড্রেসিং হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
ট্রান্স ফ্যাট নেই
রাইস ব্র্যান অয়েলে ট্রান্স ফ্যাট নেই এবং এতে উপকারী মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। এতে বিভিন্ন ফ্যাটি এসিডে ভারসাম্য রয়েছে, যা বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত।
হৃদবান্ধব
হৃৎপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর না হওয়ায় রাইস ব্র্যান অয়েলকে ‘হার্ট-ফ্রেন্ডলি’ তেল বলা হয়। ওরিজানল নামে একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান থাকায় এটি রক্তের কোলেস্টেরল মাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখে।
কোলেস্টেরল কমায়
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা রাইস ব্র্যান অয়েলের স্বাস্থ্যগত সুবিধা ও রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর ভূমিকার স্বীকৃতি দিয়েছে।
উচ্চতাপে গুণ অটুট
রাইস ব্র্যান অয়েলের স্মোক পয়েন্ট ২৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে এটি উচ্চতাপে রান্না করলেও সহজে গুণাগুণ নষ্ট হয় না। এ ছাড়া একই কারণে এটি রান্নায় কম ব্যবহার করলেও চলে।
কম আঠাল
রাইস ব্র্যান অয়েলের আঠাল ভাব কম। এ কারণে এটি খাবারে আটকে থাকে না। ফলে খাবারের তৈলাক্ত ভাব কম হয় এবং সহজে তেল ঝরানো যায়।
ভিটামিন-ই
রাইস ব্র্যান অয়েলে রয়েছে ভিটামিন-ই। এতে ক্যান্সারসহ শরীরের রোগ প্রতিরোধক উপাদান রয়েছে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট
রাইস ব্র্যান অয়েলে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি দেহের বিপাক ক্রিয়া উন্নত করতে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে এটি দেহের ওজন কমাতেও ভূমিকা রাখতে পারে।
স্কুয়ালিন
রাইস ব্র্যান অয়েলে স্কুয়ালেন নামে একটি উপাদান থাকায় এটি খাওয়া ত্বকের জন্য উপকারী।
বয়স্ক নারীর স্বাস্থ্য রক্ষায়
বয়স্ক নারীদের মেনোপজের প্রভাব কমাতে রাইস ব্র্যান অয়েল ভূমিকা রাখতে পারে বলে কিছু গবেষণায় দেখা গেছে।