নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকল নৌবাহিনীর রণতরী আইএনএস সন্ধ্যায়ক। নৌসেনার অফিসার ও জাহাজের নাবিকদের মধ্যে ঝগড়া থামাতে মাঝসমুদ্রে নামাতে নামাতে হল হেলিকপ্টার। বলিউডের অ্যাকশন মুভির চেয়ে সেই দৃশ্য কোনও অংশেই কম উত্তেজক ছিল না, জানাচ্ছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা!
ভারতীয় নৌবাহিনীর এই নজরদারি জাহাজের চার নাবিক নৌসেনার এক অফিসারকে নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ পেয়ে ওই চার নাবিককেই জাহাজ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশা উপকূলের পারাদ্বীপ বন্দরে। অফিসারের নির্দেশে সার্ভে বোট জলে নামাতে অস্বীকার করেন ওই চার নাবিক, খবর এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে। নির্দেশ পালন না করে পাল্টা ওই অফিসারের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে দেন নাবিকরা। এমনকী, তাদের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর অফিসারকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। শেষ পর্যন্ত নিগ্রহকারী নাবিকদের রুখতে ও তাদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যেতে জাহাজে নামানো হয় হেলিকপ্টার।
নৌবাহিনী সূত্রে খবর, নির্দেশ না মানার অভিযোগে ওই চার জুনিয়ার নাবিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তবে এই ঘটনাকে ‘বিদ্রোহ’ বলছেন না নৌবাহিনীর কর্তারা। তাঁদের যুক্তি, জাহাজের অন্যান্যরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। সেনাবাহিনীর প্রত্যেক সদস্যই দায়িত্ব সহকারে কাজ করেন বলেও নৌবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। ‘অপ্রীতিকর’ এই ঘটনার পর ফের স্বমহিমায় কাজ শুরু করে দিয়েছে আইএনএস সন্ধ্যায়ক। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ওই রণতরী ২০০১ থেকে ইস্টার্ন ন্যাভাল কমান্ডের অধীনে কমিশনড রয়েছে।