১.বলিরেখা দূর করে
ত্বকে বলিরেখা থেকে নিষ্কৃতি দিতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে কাঁঠালের বীজ। একটি বীজ কোল্ড ক্রিমের সঙ্গে গ্রাইন্ড করে একটা পেস্ট তৈরি করুন। তারপর সেটি নিয়মিত ত্বরে অ্যাপ্লাই করুন। বলিরেখা বাপ বাপ বলে পালাবে। কাঁঠালের বীজ আপনার ত্বককে করে তুলবে সজীব ও তরতাজা। দু-একটি বীজ সামান্য দুধ ও মধুতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে, সেটা দিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। সেই পেস্ট সারা মুখে লাগিয়ে শুকোতে দিন। তারপর উষ্ণ গরম জলে মুখটা ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, ত্বকের ঔজ্জ্ল্য বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
২.মানসিক চাপ কমায়, ত্বকের রোগ সারায়
কাঁঠালের বীজ প্রোটিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসে ঠাসা। সেজন্যই এটি মেন্টার স্ট্রেস কমাতে বিশেষ কার্যকরী। এটি ত্বকের নানা রোগও সারায়। ত্বকে ময়েশ্চারের মাত্রা বেশি রাখতে ও স্বাস্থ্যকর চুল পেতে নিয়মিত কাঁঠালের বীজ খাওয়া ভালো।
৩.অ্যানিমিয়ার শত্রু
রোজ মেনুতে কাঁঠালের বীজ রাখলে আপনার শরীরের আয়রনের মাত্রা বাড়বে। এই বীজে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। কাঁঠালের বীজ হিমোগ্লোবিনের একটি উপাদান। ফলে এটি খেলে অ্যানিমিয়া দূরে হঠবে। আয়রন সুস্থ রাখবে আপনার মস্তিষ্ক ও হার্টকেও।
৪.স্বাস্থ্যকর চুল ও ভালো দৃষ্টিশক্তি
কাঁঠালের বীজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে। চোখের স্বাস্থ্যের জন্য এই ভিটামিন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি নাইট ব্লাইন্ডনেস কাটাতেও সাহায্য করে। শুখু চোখ নয়, চুলের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে ভিটামিন এ। চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করে এই ভিটামিন।
৫.হজমশক্তি বাড়ায়
বদহজম রোধে খুবই কার্যকরী কাঁঠালের বীজ। এটি রোদে শুকিয়ে গ্রাইন্ড করে পাউডারের মতো করে ফেলুন। বদহজমে সহজ হোমমেড রেমেডি হতে পারে এই পাউডার। এতকিছু না করে শুধু কাঁঠালের বীজ খেলে কমবে কনস্টিপেশনের সমস্যা। কারণ প্রচুর ফাইবার থাকে কাঁঠালের বীজে।