১) বিট রুট
এই ফেস মাস্কের প্রধান উপকরণ হলো বিট রুট। বিট রুটে রয়েছে ভিটামিন ই, সি এবং কে। এছাড়াও এতে অ্যান্টি-এজিং প্রোপার্টি রয়েছে। বিট রুট আমাদের ত্বকের আসল রঙ ফিরিয়ে আনে এবং ত্বকে পিংক গ্লো তৈরিতে সাহায্য করে।
(২) টমেটো
টমেটো আমাদের ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করে, পোরগুলো টাইট করে এবং স্কিনকে উজ্জ্বল করে তোলে।
(৩) কাঁচা দুধ
দুধে ল্যাক্টিক এসিড রয়েছে। এটি স্কিনকে গভীরভাবে ক্লিন করতে সাহায্য করে।
(৪) কমলার খোসার পাউডার
কমলার খোসায় ভিটামিন সি রয়েছে। যা স্কিনকে উজ্জ্বল করে তুলতে সাহায্য করে। (কমলার খোসার পাউডার না থাকলে চন্দন পাউডার ব্যবহার করতে পারেন।)
(৫) বেসন
বেসন আমাদের স্কিনকে জেন্টলি স্ক্রাবিং করে, এটি স্কিনকে টাইট করে তোলে এবং স্কিনে ব্রাইট ভাব এনে দেয়।
মাস্কটি তৈরি করবেন যেভাবে-
– হাফ কাপ পরিমান বিট রুট নিন। এটি ছোট টুকরা করে কেটে নিন।
– এবার ব্লেন্ডারে এটি ব্লেন্ড করে নিয়ে জুসটা ছেঁকে নিন।
– এবার একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ বেসন, ১ টেবিল চামচ কমলার খোসার পাউডার, ১ চা চামচ দুধ, হাফ টমেটোর রস নিন।
-একই পাত্রে বিট রুটের জুসটা নিয়ে একসাথে মিক্স করে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন।
– দেখবেন ফেস মাস্কটি কতো সুন্দর গাঢ় পিংক কালার হয়েছে।
ব্যবহার বিধি:
– প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে নিন।
– এবার হাত অথবা ব্রাশের সাহায্যে ফেস মাস্কটি মুখের ত্বকে লাগান। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
– এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
– ধুয়ে ফেলার পর অবশ্যই টোনার এবং ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।
– ফেস মাস্কটি বানিয়ে ৩-৪ দিন ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারবেন।
টিপস:
এই ফেস মাস্কটি এক নাগারে ৪ দিন ব্যবহার করবেন। এরপর প্রতি সপ্তাহে ১/২ দিন ব্যবহার করবেন। ফলাফল নিজের চোখেই দেখতে পাবেন।
তবে একটা কথা বলে দেই, এটা কোনো রঙ ফর্সাকারী মাস্ক নয়। এটি শুধুমাত্র আপনার হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।