আমরা যেসব খাবার খেয়ে থাকি তার পুষ্টি সরাসরি আমাদের দেহে ছড়ায় না। বরং খাবার গ্রহণের পর তার একটি অংশ কিডনি থেকে রক্তে যায় এবং রক্তের মাধ্যমে পুরো দেহে সঞ্চালিত হয়। কিডনি হচ্ছে আমাদের দেহের রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ। এছাড়াও শরীরে জমে থাকা অনেক রকম বর্জ্যও পরিশোধিত হয় কিডনিতে।
তবে ইদানিং প্রায়ই দেখা যায় অনেক মানুষ কিডনিতে পাথরজনিত সমস্য নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছেন। কিডনির নানা সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে পাথর হওয়া। আর এটি বেশ মারাত্মক একটি সমস্যা।
এদিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন- পালং শাক বা অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবর খাওয়ার কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে। পালং শাকে অনেক বেশী মাত্রায় অক্সালেট থাকে। আর অক্সালেট দেহের ক্যালসিয়ামের সাথে মিশে যায় এবং মূত্রনালির মাধ্যমে বের হয়। এতে করে দেহে অক্সালেটের মাত্রা বেড়ে যায় যা কিডনিতে জমা হতে থাকে পাথর হিসেবে।
এছাড়া দেহে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে তা কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। খাবারে পরিমিত ক্যালসিয়াম না থাকা এবং ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ না হওয়ার কারণে কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা প্রায় ২০ শতাং বৃদ্ধি পায়।
কিডনির কাজ হচ্ছে দেহের বর্জ্য ছেঁকে দেহকে টক্সিনমুক্ত করা। আর এই কাজটি পানির সহায়তায় করে কিডনি। যদি আপনি পরিমিত পানি পান না করেন তাহলে কিডনি সঠিকভাবে দেহের বর্জ্য দূর করতে পারে না। যা কিডনিতে জমা হতে থাকে পাথর হিসেবে। সুতরাং পরিমিত পানি পান করুন।
শুধু তাই নয়, লেবু, কমলা, মালটা জাতীয় ফল কম খাওয়ার কারণে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কারণ এ ধরনের ফলমূলে থাকে সাইট্রেট, যা কিডনিতে পাথর হওয়া রোধে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এ জাতীয় ফল অবশ্যই খাবেন। যদি তেমন কিছু নাও পান তাহলে পানিতে লেবু চিপে পান করতে পারেন। তবে অবশ্যই তা পরিমিত পর্যায়ে।