ঘণ্টায় প্রায় দেড়শো কিলোমিটার গতি নিয়ে ভূখণ্ডে ঢুকেই তাণ্ডব শুরু ভরদার। কোথাও ঝড়ে উড়ে গিয়েছে ছাদ। কোথাও বা উলটে গিয়েছে বাস ও গাড়িও। ভয়ঙ্কর সাইক্লোনে তছনছ জনজীবন। এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ভরদায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০ । চেন্নাইয়ে ৪, কাঞ্চিপুরমের ২, তিরুভল্লুরের ২ মৃত ১ ভিল্লুপুরম ও ১ নাগাপট্টিনমবাসীর মৃত্যু হয়েছে ভরদায় বলে জানিয়েছে NDMA ।
বঙ্গোপসাগরের দীর্ঘ রাস্তা পেরিয়ে সোমবার দুপুরেই তামিলনাড়ুর ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ে ভয়াল ভরদা। তারপর থেকেই প্রবল ঝড়ে লন্ডভন্ড তামিলনাড়ুর একাধিক এলাকা। সেই বিভীষিকার সাক্ষী হলেন বহু মানুষ।
শক্তি বাড়িয়ে ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৬০ কিলোমিটার বেগে তিরুভেল্লুরে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকেই চেন্নাই উপকূল জুড়ে চলে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। বিভিন্ন জায়গায় ১ হাজারের উপর গাছপালা উপড়ে পড়ে যায়। ঝড়ের দাপটে ভেঙেছে একাধিক বাড়ি। বিপর্যস্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা। বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমে গিয়েছে।
আগে থেকে সাবধানতা থাকায় ঝড়ে প্রবল ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে অনেকটা। কিন্তু, তা সত্ত্বেও ভরদার তাণ্ডব রেখে গেল অনেক চিহ্ন।
ঝড়ের গতির কাছে হার মানতে হয় যন্ত্রকেও। সাইক্লোনের তীব্রতায় চলন্ত অবস্থাতেই উলটে যায় বাস। এখানেই অবশ্য শেষ নয় আরও একাধিক ধ্বংসচিহ্ন তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও পুদুচেরির কিছু অংশ জুড়ে।
ঝড়ের তেজ সহ্য করতে পারেনি দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িও। ঘণ্টায় প্রায় দেড়শো কিলোমিটার গতির সামনে পড়ে খেলনার মতো উলটে যায় গা়ড়িটি।
আগে থেকে সাবধানতা নেওয়া হলেও, মৃত্যু এড়ানো যায়নি। বছর দু’য়েক আগের হুদহুদ সাইক্লোনের সঙ্গে ভয়ের ছবিটা মিলিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই।