প্রায় সাত হাজার বছর আগে মধ্য এশিয়ায় রসুনের প্রচলন। আর এ রসুনে রয়েছে অনেক ভেষজ গুন।খালি পেটে রসুন খাওয়ায় উপকারের কথা বলেছেন অনেক গবেষক। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা।
প্রাকৃতিক অ্যান্টি-বায়োটিক: গবেষণা বলছে, খালি পেটে রসুন খাওয়া শক্তিশালী অ্যান্টি-বায়োটিকের কাজ করে। এর ভালো ফলাফল আসে সকালের নাশতার আগে খেলে। কেননা, এই সময় রসুন খেলে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ক্ষমতা অনেক কমে যায়।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাঁদের জন্য রসুন খাওয়া ভালো। উচ্চ রক্তচাপ সমস্যায় রসুন উপকারী।
অন্ত্রের জন্য: এটি লিভার, পিত্তথলি ও পাকস্থলী ভালো রাখতে সাহায্য করে। হজমশক্তিকে ভালো রাখে রসুন; পাশাপাশি চাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। স্নায়ুর চাপের ফলে পাকস্থলীতে যে এসিড তৈরি হয়, তা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখে এটি।
খাবার যখন ওষুধ: রসুন অত্যন্ত শক্তিশালী একটি খাবার। বহু বছর ধরে এটি ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ডায়াবেটিস, বিষণ্ণতা এবং বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধে উপকারী।
শ্বাসের সমস্যায়: নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, শ্বাসনালির প্রদাহ, ফুসফুসে সমস্যা, অ্যাজমা, কাশি ইত্যাদির সমস্যায় রসুন খাওয়া ভালো। এসব সমস্যা রোধে রসুন কার্যকর।
যক্ষ্মার প্রতিরোধে: খালি পেটে রসুন খাওয়া যক্ষ্মার প্রতিরোধ করতে কাজ করে। এক্ষেত্রে রসুনকে কাঁচা বা হালকা সিদ্ধ খেতে পারেন।
সাবধানতা: যাদের শরীর থেকে রক্তপাত সহজে বন্ধ হয় না, অতিরিক্ত রসুন খাওয়া তাদের জন্য বিপদ জনক। কারণ, রসুন রক্তের জমাট বাঁধার ক্রিয়াকে বাধা প্রদান করে। ফলে রক্তপাত বন্ধ হতে অসুবিধা হতে পারে। তা ছাড়া অতিরিক্ত রসুন শরীরে অ্যালার্জি ঘটাতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রসুন না খাওয়াই উত্তম। রসুন খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে অস্বস্তি বোধ করলে রসুন খাওয়া বন্ধ রাখুন। শিশুকে দুগ্ধদানকারী মায়েদের রসুন না খাওয়াই ভাল। কারণ রসুন খাওয়ার ফলে তা মায়ের দুধের মাধ্যমে শিশুর পাকস্থলীতে ঢুকে শিশুর যন্ত্রণার কারণ ঘটাতে পারে।