মাছ ভাজি - মাছ ভাজতে গিয়ে অনেককেই বিপদে পড়তে হয়। ফ্রাই প্যানে মাছ দেয়ার সাথে সাথেই তেল ফুটে ছিটিয়ে যায় চারপাশে। গরম তেলের ছিটে পড়ে আপনার পোশাকে, মুখে ও হাতে। ব্যাপারটা ঠিক সমস্যাই নয়, বরং ভয়ানক বিপদজনক। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার আছে একটি সহজ উপায়। আর তার জন্য লাগবে একটুখানি লবণ। মাছ ভাজতে গিয়ে তেল ছিটে উঠার বিড়ম্বনা এড়ানোর জন্য চুলায় মাছ দিয়েই কিছু লবণ ছিটিয়ে দিন তেলে। তাহলে মাছের তেল ছিটবে না একেবারেই। ঝামেলা ছাড়াই মাছ ভেজে নিতে পারবেন বেশ সহজে।
আচারের ছত্রাক আক্রমন থেকে মুক্তি - বাঙালির রসনাবিলাসের অন্যতম একটি উপাদান হলো আচার। লেবু, মরিচ, বিলেবু, সাতকড়া, বরই, জলপাই, তেঁতুল ইত্যাদি নানা ধরনের আচার বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ঘরেই তৈরি করা হয়। আচারে স্বাদেও থাকে ভিন্নতা। টক-ঝাল-মিষ্টি হরেক স্বাদের আচার জিভে এনে দেয় জল। আচার তৈরি করার যেমন রয়েছে নানান ঝক্কি, তেমনি এগুলো সংরক্ষণ করারও রয়েছে বেশ হ্যাপা! সাধারণত মৌসুমি ফল দিয়ে এমনভাবে আচার তৈরি করা হয়, যাতে তা সারাবছর খাওয়া যায়। আচার সংরক্ষণে অবলম্বন করা হয় নানান পদ্ধতি। কিন্তু তারপরেও দেখা যাচ্ছে কোনো ভাবে এক ফোঁটা পানির স্পর্শ পেলেও জমতে শুরু করেছে ছত্রাক। একবার ছত্রাক ধরলে তা বাড়তে থাকে দ্রুত। স্বাদ ও গন্ধ নষ্ট করে দ্রুত পচিয়ে ফেলে আচারকে। এখন কী করবেন? ফেলে দেবেন যত্নে গড়া আচার? না, বরং জেনে নিন ছত্রাক ধরা আচারকে কীভাবে আবার করে তুলবেন নতুনের মত।
আচার কাচের বয়ামে সংরক্ষণ করলে ভালো থাকে দীর্ঘদিন। আচার তেলে ডোবানো থাকলে, মাঝে মাঝে রোদে দিলে ভালো থাকবে সারাবছর। আচার ভালো রাখতে চাইলে ফ্রিজেও সংরক্ষণ করতে পারেন। এত কিছুর পরেও যদি আচারে ছত্রাক ধরে যায় তাহলে কী করবেন? এরও রয়েছে সমাধান। টক বা ঝাল আচারে ছত্রাকের আবরণ পড়লে তা তুলে ফেলে দিন। এরপর এর ওপর চিনি ছড়িয়ে দিন। আর মিষ্টি আচারে ছত্রাক পড়লে সেটা সরিয়ে ছড়িয়ে দিন লবণ। এতে আচারে আবার ছত্রাকের আক্রমণ সম্ভাবনা দূর হবে। আপনার সাধের আচার থাকবে দীর্ঘদিন ভালো।
রান্নাঘরের নানা সমস্যার টিপস -
যন্ত্রপাতি ছাড়া কি আমাদের একদিন ও চলে? ফ্রিজ ,ব্লেন্ডার মাইক্রো ওভেন, ডিশ ওয়াশার,মিক্সার আরো কত কী! এইসব যন্ত্র যেমন আমাদের খাটুনি কমিয়ে দিয়েছে তেমনি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা করেছে সহজ। জীবনে এনেছে গতি।
এছাড়াও রয়েছে কাঁচের ,সিরামিকের দামি বাসনকোসন। এসব যন্ত্রপাতি কিংবা তৈজসপত্র বার বার কেনা আমাদের জন্য বেশ ব্যয় সাপেক্ষ। তাই এদের ব্যবহার ও পরিষ্কার করার সময় নিতে হয় কিছু বাড়তি সর্তকতা। এসব কিছু নিয়েই আজকের আয়োজন।
(১) ওভেনের গায়ে উপচে পড়া তরকারির ঝোল, ভাতের মাড়, উপচে পড়া কেকের মিশ্রন ইত্যাদি পড়লে ওখানে দ্রুত লবণ ছিটিয়ে দিন। ওভেন ঠান্ডা হবার পর ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে ঘষুন।
(২) চাল ধোয়া পানি না ফেলে দিয়ে সেই পানিতে কয়েক মিনিট গ্লাসগুলো ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে শুকিয়ে দেখুন কতটা ঝকঝকে হয়ে ওঠে।
(৩) চিনা মাটি বা কাঁচের বাসনপত্র থেকে চা বা কফির দাগ তুলতে হলে কাপড়ে বেকিং সোডা দিয়ে ঘষুন।
ঘষার আগে চিনা মাটির পাত্রের নিচে একটা টাওয়েল বা কাপড় দিয়ে ঘষুন, যা কুশন হিসাবে কাজ করবে।
(৪) দা,ছুরি,বাটা-ঘষা অথবা কাটার যন্ত্র থেকে রসুন-পেঁয়াজ-মাংস-মাছের গন্ধ তাড়াতে চান? এইসব গন্ধ দূর করতে চুন বা লেবুর টুকরো দিয়ে ঘষুন। চাইলে বেকিং সোডা লাগিয়ে হালকাভাবে ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
(৫) কেটলির তলানির দাগ তুলতে সমপরিমাণ পানি ও ভিনেগার নিয়ে ফুটিয়ে সারারাত রেখে পরদিন ধুয়ে ফেলুন।
(৬) ব্লেন্ডারে হালকা গরম পানি দিয়ে এক ফোঁটা তরল ডিটারজেন্ট দিয়ে কয়েক সেকেন্ডের জন্য ব্লেন্ডারটি চালু করুন। ঢাকনা খুলে ঘষে পানি ফেলে শুকিয়ে নিন।
(৭) নন-স্টিক পাত্র বেশি ঘষাঘষি করলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কোনো কারণে এগুলোর গায়ে খাদ্যদ্রব্য আটকে গেলে গরম পানি ঢালুন। তাও না উঠলে অল্প পানিতে ভিনেগার ও বেকিং সোডা গুলিয়ে ঐ পাত্রটি গরম করুন। দাগ চলে গেলে সামান্য কুকিং অয়েল পাত্রে লাগিয়ে হালকা গরম করুন।
(৮) শুকনো মরিচ গ্রাইন্ডিং মেশিনে গুড়ো করার আগে ঠান্ডা করে নিন। এতে মরিচ গুঁড়ো করা হবে দ্রুত ও সহজ।
(৯) ফ্রিজের মধ্যে সব খাবার ঢেকে রাখবেন। এতে একটি স্বাদ ও গন্ধ অন্যটির মধ্যে চলে যাবার সম্ভাবনা কমে যাবে। ফ্রিজ গন্ধমুক্ত রাখতে এক টুকরো লেবু ফ্রিজে রেখে দিন, তবে কয়েকদিন পর পর লেবুর টুকরোটি পাল্টাতে ভুলবেন না। ফ্রিজে বাজে গন্ধ হবে না, থাকবে নতুনের মতই ফ্রেশ।