আপনি আছেন » প্রচ্ছদ » খবর

কচুর ফুলের টক

গ্রামে সেখানে সেখানে কচুর গাছ দেখা যায়। এখন এটা আমাদের একটা নিত্য সবজি (অবশ্য আগে মানুষ কচুর পাতা, লতি, ফুলের দিকে ফিরেও চাইত না, কালের বদলে এখন কচুর পাতা, লতি, ফুল সবই আমাদের খাদ্য, বাজারেও দেদারসে বিক্রি বাট্টস হচ্ছে)। যাই হোক আমি নিজেও কচুর পাতার রান্না ও লতি পছন্দ করি, শুঁটকী দিয়ে লতি তো বছরে দুই একবার খেয়েই থাকি! কচুর পাতার রান্না আমি গ্রামে গেলে হয়েই থাকে। কিন্তু কচুর ফুল অনেক দিন চোখেও দেখি নাই! হয়ত আমি গ্রামে গেলে কচুর ফুলের সময় ছিল না! শেষ কবে কচুর ফুলের রান্না খেয়েছি, মনে করতে পারবো না! তবে কচুর ফুলের যে একটা চমৎকার রান্না আছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। স্বাদ কিছুটা হলেও অনুমান করতে পারছি!

যাই হোক, কয়েকদিন আগে বাজারে পেয়ে দুই মুট কচুর ফুল কিনে ফেলি ২০ টাকা দিয়ে! রান্না কিভাবে করলে ভাল হবে তা ভেবে সময় কাটিয়ে, মা’কেই ফোন দিলাম। তিনি ফোনে যা বলেছেন তাতে রান্না চলে কিন্তু তিনি বললেন বাজার থেকে অড়হর ডাল কিনে নিয়ে ভেঁজে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে সেই ডালের সাথে সামান্য শুঁটকী মাছ দিয়ে কচুর শাঁকের মত করে রান্না করতে। এই ডাল এই শহরে পাওয়া যায় কি না আমার জানা নেই। তবে ডাল ছাড়া বাকী ফর্মুলা মনে ধরলো।

যাই হোক, পরে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিতে কয়েকজন রান্নার নিয়ম বলে দিলেন। ফ্রীজে থাকা কিয়েক্টা চিংড়ি দিয়ে আমি যাথাযত রান্না শুরু করলাম।রান্নার উপকরন উলেখ না করে আপনাদের জন্য শুধু ছবি পোষ্ট করে দিলাম। আপনারা নিশ্চয় অনুমান করতে পারবেন। চলুন।



ছবি ১


ছবি ২, ডাটা নেয়ার দরকার নেই। শুধু ফুলই যথেষ্ট।


ছবি ৩


ছবি ৪, লবন পানিতে সিদ্ধ করে নিতেই হবে, নতুরা গলা ধরতে পারে কারন বাজারের কচু কোথা থেকে এসেছে কে জানে!


ছবি ৫, মুল রান্না, সাধারন প্রদ্ধতি।


ছবি ৬


ছবি ৭, চিংড়ি মাছ!


ছবি ৮


ছবি ৯


ছবি ১০, দুই চুলায় রান্নার মজাই আলাদা। সব কিছুই জলদি, সময় বাঁচে।


ছবি ১১


ছবি ১২


ছবি ১৩


ছবি ১৪


ছবি ১৫


ছবি ১৬


ছবি ১৭


ছবি ১৮


ছবি ১৯


ছবি ২০, লবন স্বাদ দেখুন। গলা ধরে কি না, সামান্য খেলেই বুঝতে পারবেন। গলা ধরলে লেবুর রস বেশি দিতে হবে।


ছবি ২১, লেবুর রস ও ধনিয়া পাতার কুঁচি।


ছবি ২২, পরিবেশনা। গরম ভাতের সাথে অপূর্ব।