আপনার ত্বককে তারুণ্য দীপ্ত রাখতে চাইলে ক্লিঞ্জিং ও ময়শ্চারাইজিং এর পাশাপাশি স্ক্রাবিং ও করতে হবে। যদি আপনার ত্বক খুবই সংবেদনশীল হয় তবুও আপনার হাল্কা স্ক্রাব করা প্রয়োজন। এক্সফলিয়েট করলে শরিরের মৃত চামড়া দূর হয়ে যায়,ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক নতুনের মতো উজ্জ্বল হয়ে উঠে।
শুধুমাত্র মুখে না হাত ও পায়ের স্ক্রাব করাটাও খুব জরুরী। কারণ শরীরের অন্যান্য অংশের চেয়ে হাত ও পা দ্বারাই আমরা বেশির ভাগ কাজ করে থাকি। তাই হাত এবং পায়ের ও যত্ন নেয়া প্রয়োজন। আপনার রান্নাঘরের কিছু উপাদান দিয়েই এগুলো তৈরি করা যায়। এগুলোর ব্যবহারে আপনার হাত ও পায়ের ত্বক হারিয়ে যাওয়া উজ্জলতা ফিরে পাবে এবং ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বককে কোমল করে তুলবে।
লবণ এক্সফলিয়েশন এর একটি সবচেয়ে ভালো উপাদান।কিছু লবণ হাতের উল্টো পিঠে ও পায়ের পাতার উপর ছিটিয়ে দিতে হবে, একটা লেবুর অর্ধেকটা কেটে নিয়ে আস্তে আস্তে ছিটানো লবণের উপর ঘষতে হবে।লেবুর রস যেন হাত ও পা কে পুরোপুরি ভিজিয়ে দেয়, কিছুক্ষণ পর মুছে ফেললেই হবে।এতে হাত ও পায়ের মরা চামড়া দূর হবে এবং উজ্জলতা আনবে।
সংবেদনশীল ত্বক যাদের তাদের জন্য আলুর রস সবচেয়ে ভালো স্ক্রাব।আলুর কয়েকটি টুকরো থেঁতলে নিয়ে ভালো করে রস বের করে নিতে হবে, তারপর সেই রস হাত ও পায়ে ভালো ভাবে মাখিয়ে নিয়ে জোরে জোরে ঘষতে হবে।২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
অ্যালোভেরা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য ভালো একটি স্ক্রাব। অ্যালোভেরার একটি পাতা থেকে ভেতরের স্বচ্ছ জেল বের করে হাত ও পায়ে মাখিয়ে নিতে হবে। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এতে হাত ও পায়ের ত্বক কোমল ও ঊজ্জল হবে।
একটি বলের মধ্যে শুকনো কমলার খোসার গুঁড়ো নিতে হবে এর মধ্যে এক কাপের চার ভাগের এক অংশ পরিমাণ দুধ নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে।এবার মিশ্রণটি হাত ও পায়ে মাখিয়ে ২০ মিনিট রাখতে হবে। ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আপনি গোসল করতে যাওয়ার আগে কাঁচা দুধ আপনার হাত ও পায়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।কিছুক্ষণ পর যখন আপনার ত্বক এই দুধ শুষে নিবে আপনি নিজেই দেখতে পাবেন কিভাবে মরা চামড়া উঠে আসছে।