আপনি কি সাজতে ভালোবাসেন? তবে বুঝতে পারছেন না কোন ত্বকে কি রকম মেকআপ মানায়, কি কি প্রসাধনী ব্যবহার করবেন? কোন মেকআপের সাথে কি ধরনের পোশাকে আপনাকে ভালো লাগবে? এই সকল নানা রকম প্রশ্ন নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন। তাহলে আর দেরী কেন? আসুন দেখে নেওয়া যাক প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।
১. মেকআপ করার আগে আপনি আপনার মুখের ত্বককে পরিস্কার এবং মশ্চারাইজ করে নিন। এতে করে আপনার মেকআপটি ত্বকে ভালোভাবে বসে যাবে এবং মেকআপটি বেশ কমনীয় ও নমনীয় দেখাবে।
২. ত্বকের কালার টোন বুঝে সঠিক ফাাউন্ডেশনটি ব্যবহার করুন। ফাউন্ডেশনের গায়ে স্কিন টোন অনুযায়ী নম্বর দেয়া আছে। এই নিয়মটিকে অনুসরণ করুন। তাহলে আপনার মেকআপটি আপনার ত্বকের রংয়ের সাথে মিশে যাবে।
৩. স্কিনের টোন অনুযায়ী আপনার মুখের মেকআপনি গাঢ় করুন। এতে করে মেকআপটি বেশ উজ্জ্বল হবে।
৪. আপনার ত্বক যদি বেশ উজ্জ্বল হয়ে থাকে তাহলে কোনো ধরনের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করার দরকার নেই। এর জন্য শুধুমাত্র চোখের নিচে কনসিলার ব্যবহার করুন। পাশাপাশি চোখের শ্যাডোর সাথে ত্বকের উজ্জ্বলতা ঠিক করে নিন।
৫. আপনার ঠোঁটের মেকআপটি ন্যাচারাল করলে ভালো দেখাবে। যেমন ধরুন ত্বকের রংয়ের সাথে যায় এমন রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। ফর্সাদের উজ্জ্বল রঙে বেশ ভালো মানিয়ে যায়। পার্টি মেকআপে অবশ্যই উজ্জ্বল লিপস্টিক ব্যবহার করুন কিন্তু গায়ের রংতাকেও মাথায় রাখুন।
৬. ফ্রেশ এবং তারুণ্যতা ফুটিয়ে তুলতে আপনি চোখে জেল লাইনার ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার চোখের মেকআপটিকে প্রাণবন্ত করে তুলবে। এছাড়া এর ফলে শ্যাডোর প্রয়োজনীয়তাও কিছুটা ফুরিয়ে যাবে।
৭. মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে আইব্রো এর উপরে। মেকআপে আইব্রো আঁকার সময় শেষটা কখনোই হঠাৎ করেই করা যাবে না তাহলে আপনাকে অনেক বেশি বয়স্ক দেখাতে পারে। এজন্য আইব্রো এর শেষ পর্যন্ত এঁকে সাথে সাথে আরও একটু বাড়িয়ে নিন হালকা করে। তাহলে চেহারায় বেশ একটা শার্পনেস চলে আসবে।
৮. ফটোগ্রাফিক লুক আনার জন্য আপনার মেকআপটিতে হাইলাইটস ব্যবহার করুন। আইব্রো এর নিচে এবং নাকের মাঝখানে হাইলাইটস ব্যবহার করলে মুখের সমস্ত আকৃতি শার্প হবে। ফলে ছবি ভালো আসবে।
৯. চোখের ক্লান্তিভাব দূর করতে বেগুনি এবং সবুজ লাইনার ব্যবহার করতে পারেন।
১০. ব্রোনজার মুখের মেকআপে এক ধরনের গ্ল্যামার নিয়ে আসে। এটি কপালে এবং গালে ব্যবহার করলে একটি গ্লামারাস লুক তৈরি করে।