জিয়া জিয়া সাধারণ কথোপকথনে চোস্ত। এমনকী মুখের নানা অঙ্গভঙ্গি করতেও পারদর্শী সে। যেটুকু বলা হচ্ছে তা সাবলীলভাবে করতে পারে সে। তবে পার্থক্য একটাই, জিয়া জিয়া মানুষ নন, রোবট। চিনের প্রথম মানুষ সদৃশ রোবট।
জানা গিয়েছে, গতবছরে একদল চিনা বিজ্ঞানী এটিকে তৈরি করেন। চিনের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষকরা এই রোবট তৈরির দায়িত্বে ছিলেন।
চিনা গবেষক দল গবেষক দলের প্রধান চেন জিয়াওপিং এই রোবটটিকে নিয়ে বেশ গর্বিত। একটি আর্থিক সম্মেলনে এসে বোরটি নিয়ে নানা কথা জানান তিনি। চেন ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাধারী রোবট আগামী এক দশকের মধ্যেই চিনা রেস্তরাঁ, নার্সিং হোম, হাসপাতাল ও বাড়িতে নিত্যদিনের সাধারণ কাজ করতে শুরু করবে। ৫-১০ বছরের মধ্যেই চিনে রোবটের ব্যবহার বেড়ে যাবে।
রোবট জিয়া জিয়া দেখতে একেবারে আসল কালো চুল, ছোট চোখ ও চিনা বেশ ভূষায় জিয়া জিয়াকে একেবারে আসল তনয়া বলেই মনে হচ্ছে। তবে যেটুকু তাকে শেখানো হয়েছে, সেটুকুই আপাতত জবাব দিতে পারছে সে। বাকী অজানা প্রশ্নে হোঁচট খাচ্ছে জিয়া।
নানা বিষয়ে পারদর্শী জিয়া জিয়া গবেষক দলের তরফে বিজ্ঞানী চেন জিয়াওপিং জানিয়েছেন, গত ২ বছর ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে তাঁরা কাজ করেছেন। জিয়া দিনের আবহাওয়া নিয়ে যেমন নিখুঁত জবাব দিতে পারে, তেমনই প্রশ্নকর্তা ছেলে না মেয়ে সেটা বুঝতে পারে। এর পাশাপাশি সাধারণ নানা প্রশ্নেরও জবাব দিতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দখল বাড়বে বর্তমানে সারা বিশ্বেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বহু গবেষণা হয়ে চলেছে। আগামিদিনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যে বিজ্ঞানকে নিয়ন্ত্রণ করবে তাই নয়, সাধারণ জনজীবনেও এর বড় প্রভাব পড়বে। জিয়া জিয়ার মতো রোবটই এর বড় প্রমাণ বলে মনে করা হচ্ছে।