নোকিয়া আবার জগৎসভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে- অনেকটা এই মন্ত্রে ভর করেই স্মার্টফোনের বাজারে কোমর বেঁধে নামতে চলেছে নোকিয়া। অ্যান্ড্রয়েডের দাপটে নোকিয়ার উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মে চলা লুমিয়া মডেলগুলি সেভাবে বাজারের দখন নিতে না পারার ক্ষতি এখন সুদে-আসলে আদায় করে নিতে তৈরি নোকিয়া।
‘নোকিয়া পাওয়ার রেঞ্জার’ কনসেপ্ট নিয়ে অনেক কথাই এতদিন কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছিল। ভবিষ্যতে এই টেকনোলজিতেই ভর করে চলবে নোকিয়ার স্মার্টফোনগুলি। এই প্রযুক্তির ক্ষমতা কতটা তা আন্দাজ করার জন্য Nokia Swan Android Phone -টিই যথেষ্ট। ৪২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ও ৪ জিবি র্যামের এই মডেলটি স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের কনসেপ্টকে এক করে দিয়েছে।
নোকিয়া সোয়্যান একাই স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের কাজ করবে। কোয়াড কোর সিপিইউ, ইনটেলের চিপ এবং ৪ জিবি র্যাম রয়েছে এই মডেলে। এখানেই শেষ নয়, এই মডেলটির ইন্টারনাল স্টোরেজ ১২৮ জিবি।
সাধারণ ‘ফোন কল’ এলে এই মডেলটি এক্কেবারে স্মার্টফোনের মতই আচরণ করবে। কিন্তু এর আসল বিশেষত্ব যখন আপনি মডেলটিকে আনফোল্ড করবেন। রয়েছে ডুয়েল টাচ স্ক্রিন। ভাঁজ খুললেই একেবারে ল্যাপটপের মত কাজ করবে ফোনটি। নোকিয়া সোয়্যানের ডিসপ্লে ৫.৩ ইঞ্চির। কিন্তু ভাঁজ খুললেই ট্রান্সফর্ম হবে ১১ ইঞ্চির ডিভাইসে। কাজ হোক বা বিনোদন- নোকিয়া সোয়্যানের জুড়ি বাজারে বর্তমানে একটাও নেই।
এবার আসা যাক কবে নাগাদ ফোনটি বাজারে আসছে সেই কথায়। অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ ওয়েবসাইটের দাবি, নোকিয়া স্মার্টফোনের বাজারে কামব্যাক করছে ২০১৬-য়। Nokia C1 Android Smartphone সঙ্গে নিয়ে। ২০১৬ সালেই মাইক্রোসফটের সঙ্গে নোকিয়ার চুক্তির মেয়াদ ফুরোচ্ছে। যার অর্থ, পরের বছর থেকেই ফের নোকিয়ার নামে বাজারে ফোন বিক্রি শুরু হবে। সোয়্যান ফ্যাবলেটও আগামী বছরই বাজারে আসতে পারে। দাম কত হতে পারে, সে নিয়ে অবশ্য এখনও কিছু জানা যায়নি।