অনেকেরই খেলতে গিয়ে কিংবা অন্য কোনো কারণে পায়ের গোড়ালি মচকে যেতে পারে। তবে এ সমস্যার প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে কী করা উচিত তা নিয়ে অনেকেরই বিভ্রান্তি রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সমাধান কী হওয়া উচিত তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
বহুদিন আগে থেকেই কোথাও আঘাত লাগলে চিকিৎসকরা আরআইসিই নামে একটি বিশেষ পদ্ধতির কথা বলেন। এতে বিশ্রাম, বরফ, সংকোচন ও উঁচু করে রাখার কথা বলা হয়েছে. এটি খেলোয়াড়দের মানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতিতেও সংযুক্ত করা হয়েছে। যার আওতায় যেকোনো আঘাতের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে এই আরআইসিই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়।
তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, কোথাও আঘাত লাগলে সেখানে বরফ লাগানো ক্ষতিকর। কারণ সে স্থান সারিয়ে তুলতে বরফ বাধা দেয়। তাই প্রশ্ন উঠেছে, এখন যেকোনো আঘাতের ক্ষেত্রে বরফ লাগানো উচিত কি না।
বরফ দেওয়া উচিত কিঃ
আঘাত লাগলে বরফ দেওয়া উচিত কি না, এ প্রশ্নে দেখা গেছে, বিশেষজ্ঞরা এখনও বরফকে সমর্থন করছেন। তারা জানাচ্ছেন, এটি আঘাত লাগার পর যন্ত্রণা কমাতেও সহায়তা করে। এ বিষয়টির সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন আমেরিকান একাডেমি অব অর্থোপেডিক সার্জনস ও আমেরিকান অর্থপেডিক ফুট অ্যান্ড অ্যাকল সোসাইটির বিশেষজ্ঞরাও।
এ বিষয়ে ড. জেমস গ্ল্যাডস্টোন বলেণ, ‘আমি বরফের একজন বড় প্রস্তাবক।’ তিনি আরও জানান, এখানে আর কোনো ভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি প্রচলনের কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। এ ক্ষেত্রে ফুটবল খেলার সময় পায়ে ব্যথা কিংবা অস্থিসন্ধিতে মচকে গেলে বরফই সবচেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা।
আঘাত লাগলে বা মচকে গেলে সেখানে সঙ্গে সঙ্গে বরফ লাগানো হলে তা ব্যখা উপশম করে। এ ছাড়া এটি ফুলে যাওয়াও কমায়।
রাইস পদ্ধতিঃ
কোথাও আঘাত লাগলে রাইস পদ্ধতি সবচেয়ে ভালো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে কোথাও আঘাত লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্রাম করা, বরফ লাগানো, সে স্থানটি সংকোচন করা ও উঁচু করে রাখার কথা বলা হয়েছে
তবে এটি প্রাথমিক চিকিৎসাপদ্ধতি। আঘাত লাগার পর প্রয়োজনে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এ ক্ষেত্রে আঘাতের মাত্রা বুঝে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন চিকিৎসক।.