কানাঘুষো চলছিলই। শোনা যাচ্ছিল শিগগিরই নাকি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন পায়েল সরকার। তা যা রটে তার কিছু তো বটে! নায়িকা নিজেও অবশ্য সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছেন। টুইটারে তাঁর পোস্টে জানিয়ে দিচ্ছেন, সোনামনির বিয়ে হতে আর বেশি দেরি নেই।
সোনামনির বিয়ের সম্ভাবনা অবশ্য আচমকা নয়। যমের রাজা বক্স অফিসকে কী বর দিল সে কথা তোলা থাক, কিন্তু পায়েলের কাছে এ ছবি আক্ষরিক অর্থেই যে বর পাওয়ার, তা বলাই যায়। হ্যাঁ, ছবিতে তাঁর অভিনয়ের প্রশংসা তো হয়েইছিল, আবিরের সঙ্গে তাঁর জুটিও বাঙালি জেন ওয়াইয়ের বেশ মনেও ধরেছিল। কিন্তু নেপথ্যে অন্য কারও মনে ধরেছিল কাউকে। মন দেওয়া-নেওয়া সে কাহিনী ছিল চিত্রনাট্যের বাইরে, এবং বিহাইন্ড দ্য ক্যামেরা । আর তাই রিল ছাপিয়ে তৈরি হয়েছিল রিয়াল লাইফ আবির-পায়েল জুটি। টলিপাড়ার আনাচে কানাচে বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, যমের রাজা দিল বর ছবির পরিচালক আবির সেনগুপ্তর সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া সেরেছেন পায়েল। তা বসন্ত যে সত্যিই এসে গেছে আবিরের টুইটার প্রোফাইলে চোখ রাখলেও সে ইঙ্গিত মিলত। তবে এবার আর রাখঢাক নেই। এই ভরা বর্ষায় প্রেমের মরশুম তাঁরা নামিয়ে এনেছেন টুইটারে। হাতি, ঘোড়া নাচলে যে সোনামনির বিয়ে হবে সে তো ছড়া জানা যে কোনও বাচ্চাই জানে। কিন্তু এই নেহাত শিশুপাঠ্য ছড়ায় মজার মোড়কে কি বিয়ের খবরটাই ফাঁস করলেন পায়েল? তা নায়িকা নিজে কী বলছেন? তিনি নিজে এ মুহূর্তে শুটিংয়ের কাজে কলকাতার বাইরে। ফোনে জানালেন, টুইটটা আমি মজা করে করেছি। তবে ইচ্ছে আছে বছর দু য়েকের মধ্যেই বিয়েটা সেরে ফেলব।
এখনই না হলেও, বিয়ের খবর একেবারে উড়িয়ে দিলেন না পায়েল। আপাতত ঈগলের চোখ ছবির সাফল্যের স্বাদ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন নায়িকা। আর এর মধ্যেই সাত পাকে বাঁধা পড়ার পথা একরকম প্রায় ঘোষণাই করে দিলেন তিনি। ক দিন আগেই টলিপাড়ার আর এক নায়িকা শ্রাবন্তী বসেছেন বিয়ের পিঁড়িতে। এবার পালা পায়েলের! পায়েল যতই মজাচ্ছলে টুইট করুন না কেন, টলিপাড়ার সকলেই বলছেন, এসো, সুসংবাদ এসো ।