আকাশেই বিকট শব্দ আর ভয়ঙ্কর ঝাঁকুনিতে পিলে চমকে গিয়েছিল ৪৯৬ জন যাত্রী ও জনাচব্বিশেক ক্রু’র। প্যারিস থেকে উড়ে লস অ্যাঞ্জেলস যাওয়ার পথে আকাশেই একটি ইঞ্জিন ফেটে যাওয়ার ফলে জরুরি ভিত্তিতে পূর্ব কানাডার গুজ বে’তে শনিবার অবতরণ করতে বাধ্য হয় এয়ার ফ্রান্সের একটি এ৩৮০ সুপারজাম্বো এয়ারবাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া ভিডিও ও ছবিগুলি থেকে দেখা যাচ্ছে, ডাবল ডেকার বিমানটির স্টারবোর্ড ইঞ্জিনের বাইরের দিকটা একেবারেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এক যাত্রী সারা ইয়ামিঘ সিবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই বিমানটি ওপর থেকে নীচে নামতে শুরু করেছিল হুড়মুড়িয়ে। তার পরেই তিনি শুনতে পান বিকট একটা শব্দ। সারার কথায়, ‘‘ওই সময় বিমানের কেবিল থরথর করে কাঁপছিল।
আর তাতেই ভয় পেয়ে গিয়ে সবাই চিৎকার করতে শুরু করে দিয়েছিলেন। এর পরেই বিমানের ক্যাপ্টেনকে ঘোষণা করতে শোনা যায়, একটা ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ হয়েছে।’’ এয়ার ফ্রান্সের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্যারিস থেকে ওড়ার পর বিমানটি তখন আটলান্টিক মহাসাগরে গ্রিনল্যান্ডের ওপর দিয়ে যাচ্ছিল। ছিল প্রায় ৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায়। তার পরেই তড়িঘড়ি বিমানটিকে নামানো হয় পূর্ব কানাডার গুজ বে’তে সেনাবাহিনীর বিমানবন্দরে। তবে ক্রু সহ বিমানের ৫২০ জন যাত্রীকেই নিরাপদে নামানো হয়েছে।
কেন ওই ঘটনা ঘটল, তা স্পষ্ট ভাবে না জানা গেলেও এক বিমান বিশেষজ্ঞ ডেভিড রেহমার বলেছেন, ‘‘খুব সম্ভবত বিমানের ফ্যানেই কোনও গন্ডগোল হয়েছিল।’’ রেহমার নিজেও ছিলেন এয়ার ফ্রান্সের ওই বিমানে। এয়ার ফ্রান্সের এমন ১০টি এয়ারবাস রয়েছে। বিশ্বে এগুলিই সর্বাধিক যাত্রীবাহী বিমান।