অনেকের কাছেই ব্রন একটি বিশাল আতঙ্কের নাম । এমনকি ব্রণ সেরে উঠার পরও থেকে যায় এদের অবাঞ্ছিত দাগ। ব্রণের গর্তের দাগ ত্বকের সৌন্দর্য কমিয়ে দেয় অনেকটাই। অনেকেরই দেখা ব্রণের কাল দাগ চলে গেলেও রয়ে যায় অসুন্দর গর্তের দাগ গুলো এবং সহজে যেতেও চায় না। গবেষকদের মতে, নানা কারণেই ব্রণ হতে পারে। ব্রণ যে কোনও বয়সের মানুষের ত্বকেই দেখা দেয়, কিন্তু টিনএজারদের ত্বকে ব্রণ বেশি হয়ে থাকে। তৈলাক্ত ত্বকেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্রণ দেখা যায়।
ব্রণ স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের সৌন্দর্য নষ্ট করে থাকে। ব্রণের ক্ষত দাগকে মূলত একনে স্কার বলা হয়। ব্রণ হাত দিয়ে খুঁটলে এমন দাগ দেখা দেয় ত্বকে। আর এই ক্ষত দাগগুলোকে ত্বক হতে খুব সহজে মুছে ফেলা যায় না। তাই আসুন জেনে নেই কেমন করে ব্রণের ক্ষত নির্মূল করা যায় –
অ্যালোভেরা জেলঃ অ্যালোভেরা জেল প্রকৃতির আশীর্বাদ স্বরূপ। এই একটা উপাদান ত্বকের নানা রকম সমস্যা থেকে মু্ক্তি দেয়। টাটকা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন। অ্যালোভেরা স্বচছ্ব জ়েলীর মত উপাদান, এটি ব্যবহার করুন। দিনে যতবার ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনাকে দেবে বিরক্তিকর ব্রণের গর্তের দাগ থেকে মুক্তি।
টমেটোঃ টমেটোতে আছে ভিটামিন ‘এ’ যা ব্রণ ও ব্রণের দাগ দুটোই সারিয়ে তোলে। তাছাড়া এতে আছে ত্বকের ক্ষয়-ক্ষতি সারিয়ে তুলার প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট। মাঝারি আকারের টাটকা টমেটো নিন। একে সমান ২ ভাগে ভাগ করুন। এবার দুই গালে ম্যাসাজ করুন। এতে গর্তের দাগ হালকা হবে এবং মুখে রোদে পোড়া ভাবও কমবে।
বরফ কুচিঃ বরফ কুচির ব্যবহারে ব্রণের গর্ত হালকা হয়। ঘরে বসে স্কার সারানোর জন্য বরফ কুচি ব্যবহার করে থাকেন। পাতলা কাপড় বা তুলোতে একটা বরফের টু্করো নিয়ে গর্তের জায়গায় ১৫-২০ মিনিট ঘষে লাগান। এতে ত্বকে আরামদায়ক অনুভুতির পাশাপাশি সারিয়ে দেবে গর্তের দাগ।
তুলসী পাতাঃ ব্রণের জন্য তুলসি পাতার রস খুব উপকারী। কারণ তুলসি পাতায় আছে আয়ূরবেদিক গুণ। শুধুমাত্র তুলসি পাতার রস ব্রণ আক্রান্ত অংশে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
কাঁচা হলুদঃ কাঁচা হলুদ এবং চন্দনকাঠের গুঁড়ো ব্রণের জন্য খুবই কার্যকর দুটো উপাদান। সমপরিমাণ বাটা কাঁচা হলুদ এবং চন্দন কাঠের গুঁড়ো একত্রে নিয়ে এতে পরিমাণ মত পানি মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করতে হবে। মিশ্রণটি এরপর ব্রণ আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর শুকিয়ে গেলে মুখঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই মিশ্রণটি শুধুমাত্র ব্রণদূর করার কাজ করে না বরং ব্রণের দাগ দূর করতেও সাহায্য করে।
মধুঃ মধু এমন একটি পরিচিত প্রাকৃতিক প্রসাধনী। প্রাচীন কাল থেকেই রূপচর্চার জন্য মধুর ব্যবহার প্রচলিত হয়ে আসছে। মধু মিষ্টতা খাবার হিসাবেও খুব ভালো। ফ্যাট কম থাকায় এটি আপনাকে ফিট থাকতে যেমন সাহায্য করবে তেমনি নিয়মিত ব্যবহারে সারিয়ে তোলে ব্রণের গর্তের দাগ।
ভিটামিন-ই তেলঃ ব্রনের গর্তের দাগ সারানোর জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকারি সমাধান হচ্ছে ভিটামিন ই তেল। এটি ব্রণের গর্তে যাদুর মত কাজ করে থাকে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে ভিটামিন ই তেলের ব্যবহারে আপনার মুখমন্ডল হয়ে উঠবে দাগহীন,উজ্জ্বল। এটি ব্রণের কালো দাগ সারাতেও সাহায্য করে।