এইমাত্র পাওয়া

  • কাপ জিতেই ছাড়ব, জন্মদিনে শপথ মেসির
  • প্রাথমিকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জুলাইয়ে, থাকছে ৬০% নারী কোটা
  • ঝালকাঠিতে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ধ্রুবতারা’র দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠান
  • ঝিনাইদহে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার
  • দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে
  • ফাঁটা পায়ের যত্নে কিছু পরামর্শ !!
  • ডায়াবেটিস রোগীরা কি রোজা রাখতে পারবে?
  • ওজন কমাবে কালো জিরা
  • হলুদ দাঁতের সমস্যা সমাধান করুন নিমিষেই
  • কিশিমিশের পানি খেলে যে উপকার পাবেন
Updated

খবর লাইভ

মাসুদ মিয়ার তৈরী ‘ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ’ ওষুধে সুফল পাচ্ছে রোগীরা

20 September 2017 08:53:36 17194907 ভোট:5/5 1 Comments
Star ActiveStar ActiveStar ActiveStar ActiveStar Active
মাসুদ মিয়ার তৈরী ‘ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ’ ওষুধে সুফল পাচ্ছে রোগীরা

টাঙ্গাইল পৌর কাগমারী কলেজ মোড়স্থ কবিরাজ মাসুদ মিয়ার তৈরী ওষুধে হচ্ছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ। গাছ গাছরা দিয়ে তৈরী এ ওষুধে স্থায়ী ভাবে ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে আসায় দিনদিন তার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভীড় জমছে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর। এর সুফলও পাচ্ছে রোগীরা। সরেজমিনে, মাসুদ মিয়ার বাড়িতে গিয়ে ও ডায়াবেটিস রোগীদের সাথে কথা বলে যেসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে তা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল – সিরাজগঞ্জের সাহেব পাড়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা বাহাদুর মিয়ার স্ত্রী জয়গন, তার বয়স বর্তমানে ৭০এর অধিক। সে জানায়, তার বয়স যখন ৩৫/৪০ বছর তখন থেকেই তার ডায়াবেটিস রোগ হয়েছে বলে সে জানতে পারেন। প্রথমেই ২৭/২৮ পর্যন্ত ডায়াবেটিস থাকতো। সব সময় মাথা ঘুরানো সহ শরীর অসুস্থ্য থাকতো। কোন প্রকার কাজ কর্ম তার ভাল লাগতো না তার। অনেক চিকিৎসা সেবা এমনকি ইন্সুলেন্সও নিয়েছেন তিনি। অনেক বছর ধরে কত চিকিৎসা করেও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারছিলেন না।

পরে তিনি জানতে পারলেন টাঙ্গাইলের মাসুদ মিয়ার গাছ-গাছরা দিয়ে তৈরী ওষুধের কথা। এর পর তিনি ছেলেকে নিয়ে চলে আসেন এবং এখান থেকে ওষুধ নিয়ে খেতে থাকেন। প্রথমবার ২১দিনের এক কোর্স ফাইল খাওয়ার পরপরই তার শরীর অনেকটা সুস্থ্যবোধ করেন। পরে একে একে ৪টি ফাইল খাওয়ার পর তিনি অনেকটাই সুস্থ্য। বর্তমানে তার ডায়াবেটিস নেমে ৬/ ৭ এ চলে এসেছে। তিনি আরো জানান, এটি স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কবিরাজ বলেছেন ৫ম ফাইলটি খেতে হবে। তাই ৫ম ফাইলের জন্যই আমি এসেছি। এখন আমি সাংসারিক সকল প্রকার কাজ কর্ম করতে পারি এবং হাটা চলা ফেরা করতে পারছি। চিবিৎসা নিতে আসা নোয়াখালীর মহতাপুর গ্রামের শফিউল্লাহ জানান, তার বয়স ৬৫ বছর। আমার ডায়াবেটিস হওয়ার পর থেকেই শরীর আস্তে আস্তে নিস্তেজ হতে থাকে। আমি শরীরে বল পাইনা। আমার একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। অনেক চিকিৎসা সেবা নেয়ার পরও সুস্থ্য হইনি। বর্তমানে আমি টাঙ্গাইলের কবিরাজ মাসুদ মিয়ার তৈরী করা ওষুধ খেয়ে পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠেছি। বর্তমানে আমার ডায়াবেটিস মাপার পর ৫-৬ এ নেমে এসেছে। এ নিয়ে কথা হয়, গোপালগঞ্জ জেলার পাটকেলবাড়ি গ্রামের বিনোদ রায়ের ছেলে স্বপন রায়ের সাথে। তার ডায়াবেটিস হওয়ার পর ঢাকা বারডেম হাসপাতালেসহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।

পরে টাঙ্গাইল থেকে কবিরাজে গাছ-গাছরার তৈরী করা ওষুধ খেয়ে ৮৪ দিনেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। এ ছাড়াও কথা হয়, চাঁদপুরের ফখরুল ইসলামের স্ত্রী নাজমুন নাহার, ঢাকা ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন ও ভোলার শফি উদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন ডায়াবেটিস রোগীর সাথে। তারা জানান, ডায়াবেটিস একটি নিরব ঘাতক রোগ। শরীরে বাসা বেঁধে ধীরে ধীরে শরীরকে অসুস্থ্য করে তুলে। এবং শরীরের কাটা ছেড়া ও ফুড়া উঠলে তা সেরে উঠতে চায় না। এ রোগ চিরজীবনের জন্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাসুদ মিয়ার ওষুধ খেয়ে এখন আমরা ভাল ও সুস্থ্য আছি। এ ব্যাপারে কবিরাজ মাসুদ মিয়া সময়ের কন্ঠস্বর’কে জানান, বিভিন্ন প্রকার ঔষধি গাছ-গাছরা দিয়ে তৈরী করা বড়ি, ফাঁকি ওষুধ ও সরবত আকারে ২১দিনের কোর্স করে একটি ফাইল দেয়া হয়। ২১দিন পরপর ৫ ফাইল ওষুধ সেবন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আর এই নিয়ন্ত্রণ চিরজীবন ধরে রাখতে শুধু পানির সাথে মধু মিশিয়ে খেতে হবে। এতেই স্থায়ীভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে থাকবে। তিনি জানান, ঔষধি গাছ-গাছরা চাহিদা অনুযায়ী সংগ্রহ করতে না পারায় কাঙ্ক্ষিত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে পারছি না। তবে ঔষধি গাছ-গাছরার চাষ করতে পারলে সকল ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হত।

বিডিরমনী থেকে সংগ্রহীত

Loading...
advertisement
সর্বশেষ সংবাদ
এ বিভাগের সর্বশেষ