ডায়বেটিসের সমস্যা ইদানীং অনেক বেশিই বেড়ে গিয়েছে। প্রায় প্রতি ঘরেই ডায়বেটিসের রোগী দেখা যায়। যদিও অনেকাংশে এটি বংশগত রোগ কিন্তু তারপরও পরিবারে ডায়বেটিস রোগের ইতিহাস না থাকলেও অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। ডায়বেটিস রোগীদের অনেক বেশি সাবধান হয়ে চলতে হয়। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে জীবনযাপনের একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চললেই এই রোগটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বেছে এবং পরিমিত খেয়ে জীবনযাপনে সচেতনতা অবলম্বন করতে হয় ডায়বেটিস রোগীদের। কিছু খাবার খাওয়া ডায়বেটিস রোগীদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আজকে চিনে নিন এমনই কিছু ক্ষতিকর খাবার।
১) সাদা চাল
সাদা চালের ভাত যতো বেশি খাওয়া হয় ততো বেশি টাইপ-২ ডায়বেটিসের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রাউ ৩,৫০,০০০ মানুষের উপর গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রতিদিন সাদা চালের ভাত নিয়মিত খাওয়ার ফলে প্রায় ১১% টাইপ-২ ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। তাই রোগীরা কতোটুকু ভাত খাওয়া স্বাস্থ্যকর তা জানতে নিজের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন।
২) চাইনিজ খাবার
চাইনিজ খাবারে রয়েছে অনেক বেশি ফ্যাট, ক্যালরি, সোডিয়াম, কার্বোহাইড্রেট যা হুট করেই দেহের সুগারের মাত্রা অনেক বেশি বারিয়ে তোলে। বিশেষ করে অরেঞ্জ, সুইট অ্যান্ড সাওয়ার ধরণের খাবার ডায়েবটিস রোগীদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।
৩) বোতলজাত ফলের জুস
স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে সোডা বাদ দিয়ে ফলের জুস পান করেন? কিন্তু জেনে রাখুন বোতলজাত ফলের জুস পান করা এবং সোডা পান করার মধ্যে বিশেষ পার্থক্য নেই। কারণ ফলের জুসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চিনি ও ক্যালরি যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
৪) কলা ও তরমুজ
সবাই জানেন তাজা ফলমূল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর, কিন্তু ডায়বেটিস রোগীদের জন্য তাজা সব ফল স্বাস্থ্যকর নয়। কলা এবং তরমুজের মতো ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক চিনি যা রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ায়। তাই এই খাবারগুলো থেকে দূরে থাকাই ভালো।
৫) রিফাইন্ড সিরিয়াল
সুইটেন্ড ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল ধরণের খাবারগুলো ডায়বেটিস রোগীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এছাড়াও ইনস্ট্যান্ট ধরণের স্বাস্থ্যকর ওটমিলও ডায়েবেটিস রোগীদের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।