সরকারি আদেশে বিহারে মদ বন্ধ হবার পর থেকে মাথায় হাত পরল নেশা প্রেমিকদের। কি করে কাটবে তাদের দিন, সেইসব নেশা প্রেমিকদের মধ্যে একজন ছিল রানা তপেশ্বর সিংহ, ওরফে লালন। তিনি ছিলেন পাটনার সমস্তি পুরের ওয়ারিস নগরের সারি গ্রামের বাসিন্দা। ৩৫বছর ধরে এক টানা মদের নেশা করা ছিল তার প্রতিদিনের রুটিন। রোজ রাতে মদ না খেলে ঘুম আসতো না লালনের, এমন কথাই জানা যায় লালনের থেকে।
মদ বন্ধ হবার পর প্রথম দিকে নেশার ট্যাবলেট ব্যাবহার করতেন তারপর গাজা, চরস ও কাফসিরাপ ও বাদ দেয় নি তিনি। কিন্তু এই সব নেশা ৩৫ বছরের পুরোনো নেশাকে হার মানাতে কিছুতেই পারছিল না। এরপরই লালনের মাথায় এক অদ্ভুত নেশার কথা আসে, ১০০০টাকা দিয়ে এক সাপুড়ের থেকে একটা গোখরো সাপ কেনেন এবং সেটিকে বারির পিছনে কাউকে না জানিয়ে একটি কৌটোর মধ্যে আটকে রেখেছিল। রোজ সাপটিকে একটি করে ব্যাঙ খেতে দিত, আর ব্যাঙ না পেলে একটি করে সিদ্ধ ডিম। সাপটি কৌটোর মধ্যে ফনা তুলে বসে থাকলে, লালন কৌটোর মধ্যে সেই সময় তার হাত ঢুকিয়ে দিত। এরপর সাপটি তার হাতে ছোবল মারত সাপের ছোবল খেয়ে তার হালকা নেশা হত।
হঠাৎ কাজের জন্য লালন কে কদিনের জন্য বাইরে যেতে হয়। যার ফলে সাপটি খিদের ফলে আরও রেগে যায়, ফলে সাপটির বিষ থলিতে বিষের পরিমান বারতে থাকে। অভুক্ত অবস্থায় সাপটি আরোও হিংস্র হয়ে ওঠে। কদিন পরে লালন বারি ফিরেই নেশার তাগিদে কৌটোর মধ্যে হাত ঢোকাতেই সাপটি তাকে খুব জোরে ছোবল মারে। অতিরিক্ত বিষ শরীরে মিসে যাওয়ার ফলে লালনের মুখ থেকে ফ্যানা বেরোতে থাকে, বাড়ির লোক এই অবস্থা দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।চিকিৎসক রোগীকে দেখেই যানায় এটি সাপের কামর। চিকিৎসার পর লালনের জ্ঞান ফিরে আসে তারপর পুরো ঘটনাটি সবাইকে জানালে, তা শুনে বাড়ির লোক সাপটিকে পিটিয়ে মেরে হত্যা করে। এই ঘটনা দেখে ও শুনে গ্রামবাসীরা রীতিমতো আতঙ্কিত, তাদের বক্তব্য কোনো বিষাক্ত জীব নিয়ে এইভাবে খেলা করা উচিৎ নয়।