এইমাত্র পাওয়া

  • কাপ জিতেই ছাড়ব, জন্মদিনে শপথ মেসির
  • প্রাথমিকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জুলাইয়ে, থাকছে ৬০% নারী কোটা
  • ঝালকাঠিতে সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ধ্রুবতারা’র দোয়া ও ইফতার অনুষ্ঠান
  • ঝিনাইদহে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেমিনার
  • দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে
  • ফাঁটা পায়ের যত্নে কিছু পরামর্শ !!
  • ডায়াবেটিস রোগীরা কি রোজা রাখতে পারবে?
  • ওজন কমাবে কালো জিরা
  • হলুদ দাঁতের সমস্যা সমাধান করুন নিমিষেই
  • কিশিমিশের পানি খেলে যে উপকার পাবেন
Updated

খবর লাইভ

নতুন চমক আসতে চলেছে রাণী রাসমণি সিরিয়ালে

20 August 2017 11:24:48 17004954 ভোট:5/5 3 Comments
Star ActiveStar ActiveStar ActiveStar ActiveStar Active
নতুন চমক আসতে চলেছে রাণী রাসমণি সিরিয়ালে

কুলগুরু আগেই জানিয়েছেন যে কিশোরী রাসমণি সামান্য মেয়ে নয়। তার অসামান্য ব্যক্তিত্বের ছটা দেখা যাবে এবার আগামী পর্বগুলিতে। ঠিক কী ঘটতে চলেছে জেনে নিন।
গত বৃহস্পতিবারের টিআরপি তালিকা অনুযায়ী, ১৫+ আরবান রেটিংয়ে ‘রাণী রাসমণি’ ও ‘কুসুমদোলা’ রয়েছে শীর্ষে। দু’টি ধারাবাহিকেরই রেটিং ৮.৯। রাসমণির সঙ্গে বাবু রাজচন্দ্র দাসের বিয়ের জাঁকজমক তো গত সপ্তাহের ইউএসপি ছিল, কিন্তু এবার ধীরে ধীরে সেই সময়ের সমাজ-রাজনৈতিক ইতিহাসকে তুলে ধরতে চলেছে এই ধারাবাহিক।
এই ধারাবাহিকের গবেষণা ও কাহিনি সৃজনের দায়িত্বে রয়েছেন শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন যে রাণী রাসমণি ও বাবু রাজচন্দ্র দাস— রূপকথার এই রাজারানির জীবনকাহিনি ভীষণ ভাবে সংযুক্ত বাংলার নবজাগরণ পর্যায়ের সঙ্গে। তাই সেই ইতিহাসও ধরা পড়বে টেলি-পর্দায় এবং তার প্রথম অংশটি দেখা যাবে আগামী সপ্তাহে রানির দ্বিরাগমনকে কেন্দ্র করে।

দ্বিরাগমনে যাওয়ার সময়েই রাসমণির নজরে আসবে তৎকালীন বাংলার একটি নারকীয় প্রথা— সতীদাহ। ইতিহাস বলে, ১৯২৯ সালে লর্ড উইলিয়ম বেন্টিঙ্ক, আইন জারি করে এই প্রথাটি বন্ধ করেন। এই সিদ্ধান্তের পিছনে যাঁর অবদানের কথা স্কুলপাঠ্যে বাঙালিরা পড়েন, তিনি রাজা রামমোহন রায়। রাসমণির যখন বিয়ে হয়, ১৮০৩ সাল, তখনও কিন্তু রামমোহন রায় এই বিষয়টি নিয়ে জনমত তৈরির কাজে হাত দেননি।

শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ‘‘ওই সময়ে যাঁরা প্রথম এই প্রথার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেন তাঁরা হলেন ওলন্দাজ মিশনারি উইলিয়ম কেরি ও জোশুয়া মার্শম্যান। কেরি তাঁর বাংলা ও সংস্কৃত শিক্ষাগুরু মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের কাছে এই প্রথা সম্পর্কে জানতে চান। এবং সেই অনুসন্ধান করতে করতে তাঁরা দেখেন যে প্রাচীন ভারতে সহমরণ ছিল হিন্দু নারীর কাছে একটি অপশন অর্থাৎ স্বামীর মৃত্যুর পরে স্ত্রী যদি চান তিনি মৃত স্বামীর চিতায় সহমরণে যেতে পারেন। কিন্তু চতুর্দশ-পঞ্চদশ শতকে এসে এই প্রথাটি পুরুষের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে পুরোপুরি এবং তখন থেকেই বাধ্যতামূলক হয়ে উঠতে থাকে।’’

মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কারের সাহায্যে উইলিয়ম কেরি ও মার্শম্যান সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে একটি ডিবেট রেকর্ড তৈরি করেন যা তাঁরা সম্ভবত ওয়েলেসলি কোর্টে আপিল হিসেবে জমা দেন। এই গোটা বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন রাসমণি-রাজচন্দ্র। কেরি ও মার্শম্যান ছদ্মবেশ ধারণ করে জানবাজারে বাবু রাজচন্দ্রের সঙ্গে দেখাও করতে আসেন। বাংলার ইতিহাসের এই প্রায়-বিস্মৃত ঘটনাবলী উঠে আসবে আগামী সপ্তাহে, রাসমণির পর্বগুলিতে, সম্ভবত প্রথম বার কোনও পপুলার মিডিয়ায়।

সংকলন - এবেলা ডট ইন

রাণী রাসমণি, রাণী রাসমণি সিরিয়াল, রাণী রাসমণি সিরিয়াল অনলাইন, রাণী রাসমণি সিরিয়াল ভিডিও ডাউনলোড

Loading...
advertisement
সর্বশেষ সংবাদ
এ বিভাগের সর্বশেষ