সাউথ পয়েন্টে তাঁর পড়াশোনা, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে স্নাতক। আর তার পর এমবিএ। কিন্তু এত সব ডিগ্রি লাভের পর চাকরি নয়, অভিনয়কেই পেশা হিসেবে বেছে নিলেন নীল ভট্টাচার্য। আসলে অভিনয়ের পোকাটা ছোট থেকেই মাথায় ছিল নীলের। স্কুলে, কলেজে নাটকে অভিনয়। গ্রুপ থিয়েটার। খেলাধুলোতেও তুখড় নীল। বাস্কেটবল, ক্রিকেট, ফুটবল... গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর মা তাঁকে শর্ত দেন, মিনিমাম এমবিএ করলে, ছেলের অভিনয়ে গ্রিন সিগনাল দেবেন। ‘‘তাই মায়ের জন্য এমবিএ করা। তার পর ‘চিত্রা’ বলে একটা ছবি করেছিলাম। কিন্তু সেটা ওয়র্কআউট করেনি। এর পর ‘ঠিক যেন লাভস্টোরি’। এই সিরিয়ালের ‘আদি’ চরিত্রটা খুব জনপ্রিয় হয়েছিল।
দ্বিতীয় সিরিয়াল ‘স্ত্রী’।’’ মায়ের কথা শুনেই আপনার এমবিএ করা। তার মানে নীল মাম্মাজ বয়? (হাসতে-হাসতে) ‘‘সে রকম কিছু না। তবে মায়ের কথা শুনতে ভাল লাগে, মা-বাবার সঙ্গে থাকতে ভালবাসি। আমি একা থাকায় বিশ্বাসী নই। বারোটা-একটা-দুটো যখনই ফিরি, মা দরজা খুলে দেবে, খেতে দেবে, সেটা আমার ভীষণ ভাল লাগে।’’ নীলের বাবা ডাক্তার এবং মা স্কুল টিচার। তাঁরা তিনজন ছাড়াও বাড়ির চতুর্থ সদস্য একটি ছোট্ট বিড়াল, পুসু। ‘‘ওর ট্রিটমেন্ট কিন্তু ছোট ছেলের মতো।’’ নীলের পরবর্তী লক্ষ্য কিন্তু এখন থেকেই স্থির। ‘‘কিছু দিনের মধ্যেই আমি মার্শাল আর্টস, ডান্সের এক্সটেনসিভ ট্রেনিং নিতে যাচ্ছি। সিরিয়াল চলতে-চলতে এগুলো করা খুব ডিফিকাল্ট। তাই এই সিরিয়ালের কাজ শেষ হলে, ট্রেনিং নেব। তার পর মুম্বই চলে যাব বা এখানেই বড় পরদায় কাজ করব। আসলে আমার আগেই মুম্বই যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু যে দিন যাব, সে দিনই এই সিরিয়ালের অফারটা পাই। তবে মুম্বইয়ে ছবি নয়, ভাল কোনও সিরিয়াল করতে চাই। সম্প্রতি বেনি দয়ালের একটা মিউজিক ভিডিয়ো করেছি। ৩০ জুন এটা রিলিজ করবে। তবে আমি যেটুকু সাফল্য পেয়েছি, তার জন্য মা-বাবা ও আমার কয়েকজন টিচারের কাছে খুব কৃতজ্ঞ।’’ তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, নীলের আসল নাম কিন্তু অভিজিৎ। নাম পরিবর্তনের কারণটা কী? ‘‘ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে মা বলেছিল, ‘এন’ দিয়ে আমার নাম হলে নাকি আমি বেশি সাকসেসফুল হব। তাই...’’ নীল স্বীকার করুন বা না-করুন, তিনি কিন্তু সত্যিই মাম্মাজ বয়!
খবর - আনন্দবাজার