বরের বয়স ১০ আর বউয়ের ১৮। একজন নাবালক ও অন্যজন সদ্য প্রাপ্তবয়স্ক। হঠাৎই ধারাবাহিকের গল্পে তাঁদের বিয়ে দেওয়া হল। শুধু তাই নয় রাখা হল কিছু রোম্যান্টিক সিকোয়েন্স। গত কয়েকদিন ধরেই ‘পেহরেদার পিয়া কি’ ধারাবাহিক নিয়ে উত্তাল নেট-দুনিয়া। অবিলম্বে ধারাবাহিকটি বন্ধ করার জন্য রাতারাতি পিটিশন চালু হল ‘চেঞ্জ ডট ওআরজি’-তে। এমনকী ধারাবাহিকের গতিপ্রকৃতি দেখে ক্রুদ্ধ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও। ব্রডকাস্টিং কনটেন্ট কমপ্লেন্টস কাউন্সিল-কে তিনি ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন এই টেলি-ধারাবাহিকটির বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।
কিন্তু গতকাল, ১৪ অগস্ট সাংবাদিক বৈঠক ডেকে প্রযোজকরা দাবি করলেন যে আপত্তিকর কিছুই নেই তাঁদের ধারাবাহিকের স্টোরিলাইনে। বরং যা নেই, তা রটানো হচ্ছে। প্রযোজক শশী মিত্তল ও সুরেশ মিত্তল জানালেন, শুধুমাত্র গুজবের ভিত্তিতেই এই ধারাবাহিকের দিকে আঙুল তুলছেন একদল মানুষ। যে হনিমুন সিকোয়েন্সটি সম্পর্কে কথা উঠছে, যেখানে ১০ বছরের বালক ১৮ বছরের এক তরুণীর প্রতি আকর্ষণ অনুভব করছে, তেমন কোনও সিকোয়েন্স ধারাবাহিকে ছিল না বলেই দাবি করছেন তাঁরা। এছাড়া ফুলশয্যার দৃশ্য নিয়ে তাঁদের বক্তব্য, ‘‘আমরা রক্ষণশীল পরিবার থেকে এসেছি। ওই বিতর্কিত সুহাগ রাত দৃশ্যটি কেউ দেখেনি। এই ধারাবাহিকে দিয়া বরং ঘৃণার পাত্রী কারণ সে নায়কের পেহরেদার বা রক্ষাকর্ত্রী।’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ধারাবাহিকের মূল প্লটটি এটাই যে রাজপরিবারের এক একনিষ্ঠ কর্মচারী প্রায় মৃত্যুর মুখে এসে তাঁর ১৮ বছরের মেয়েকে বাধ্য করেন নাবালক রাজপুত্রকে বিয়ে করতে। উদ্দেশ্য, রাজপুত্রকে নানা ষড়যন্ত্র থেকে আগলে রাখা। বিষয়টি খুব অভিনব নয়। রাজনৈতিক কারণে বা বংশকে সুরক্ষিত রাখতে এমন বিয়ের ভুরি ভুরি নজির রয়েছে রাজপুত পরিবারগুলিতে। কিন্তু প্লটে দেখানো হয়েছে যে নাবালক রাজপুত্র যেন প্রেমে পড়ছে তার প্রাপ্তবয়স্ক স্ত্রীর। অভিযোগকারীদের বক্তব্য, প্রাইমটাইমে এমন বিতর্কিত বিষয় নিয়ে টেলিকাস্ট শিশুমনে কুপ্রভাব ফেলবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও তেমনটাই মনে করছেন।
কিন্তু গতকালের সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েছেন প্রযোজকরা যে প্লট পরিবর্তন করতে তাঁরা মোটেই রাজি নন!