আদা একটি উদ্ভিদ মূল মূল যা মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। মশলা জাতীয় ফসলের মধ্যে আদা অন্যতম। আদা খাদ্যশিল্পে, পানীয় তৈরীতে, আচার, ঔষধ ও সুগণ্ধি তৈরীতে ব্যবহার করা হয়। এটি ভেষজ ঔষধ। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে চিবিয়ে খাওয়া হয়। অধিকন্তু সর্দি, কাশি, আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপায় আদা চিবিয়ে বা রস করে খাওয়া হয়। অন্যান্য অর্থকরী ফসলের চেয়ে আদা চাষ করা লাভজনক।
টানা ৩০ দিন আদা খেলে কী হয়?
বাংলাদেশের টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, পঞ্চগড় ও পার্বত্য জেলাগুলোতে ব্যাপকভাবে আদা চাষ হয়ে থাকে।আদা বীজ রোপণের প্রায় ৭-৮ মাস পর ফসল পরিপক্ব হয়। আদা এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে মে মাস পর্যন্ত রোপণ করা হয়। সাধারণত ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে আদা উত্তোলন করা হয়। আদায় আমিষ ২·৩%, শ্বেতসার ১২·৩% , আঁশ ২·৪% , খনিজ পদার্থ, ১·২% পানি ৮০·৮% ইত্যাদি উপাদান বিদ্যমান।
আদা ছাড়া বাঙালির রান্নাঘর ভাবাই যায় না। সুস্বাদু রান্নার জন্য রান্না ঘরে আদা চাই-ই চাই। কিন্তু আদা শুধু খাবারের স্বাদ ও গন্ধ বাড়ায় না, এক টুকরো আদা পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়িয়ে জীবনও বদলে দিতে পারে। কি বিশ্বাস হচ্ছে না তো!
* নিয়মিত আদা খেলে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বাড়ে। সহজেই স্পার্ম কাউন্ট বৃদ্ধি করে আদা।
* প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানে ভরপুর আদা। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত আদা খাওয়ার অভ্যাস করলে ছোটখাটো অনেক রোগের হাত থেকেই মুক্তি মেলে।
* দুর্বল লাগছে? কারণ, যাই হোক এক টুকরো আদা খেয়ে নিন। অনেকটা শক্তি পাবেন। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, জানুন দুর্বলতার কারণ।