১. ত্বক হাইড্র্যাট করে একটি শাসালো ফল হওয়ার দরুন পেঁপেতে ইলেক্ট্রোলাইট থাকে যা কেবল ত্বককে হাইড্ৰেটই করে না, বরং ত্বকের পিএইচ অনুষঙ্গও নিয়ন্ত্রণ করে। একটি পেঁপের স্প্রে তৈরী করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন, একটু নারকেল তেলের সাহায্যে।
২. বার্ধক্য রোধ করে পেঁপে একটি দারুন এক্সফলিয়েটর। এতে আলফা-হাইড্রোক্সিল অ্যাসিড রয়েছে যা মৃত চামড়ার কোষগুলিকে দ্রবীভূত করে, ত্বকের দাগ নিরাময় করে এবং বলিরেখা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। সমান পরিমানে পেঁপে এবং দই মিশিয়ে ত্বকে মালিশ করুন। শুধু মাত্র এক ভাবেই মালিশ করুন।
৩. ব্রণ হ্রাস পেঁপেতে প্রোটিওলাইটিক এনজাইম, পেপেন রয়েছে, যা ব্রণ ও পিম্পলগুলি গলিয়ে দিতে পারে। এটি ব্যাকটেরিয়ার ওপরেও প্রভাব ফেলে এবং ত্বককে জীবাণু মুক্ত করে তোলে। কাঁচা পেঁপের রস ব্যবহার করে একগুঁয়ে ব্রণর হাত থেকে রাতারাতি পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
৪. ট্যান দূর করে গরম দেশে বসবাস মানে আপনার ত্বক একটু ট্যান হতে বাধ্য। সবচেয়ে চোখে লাগে যখন শরীরের কিছুটা জায়গা ট্যান হয়ে যায় অন্য জায়গার তুলনায়। আপনার প্রয়োজন শুধু পেঁপের রস এবং একটু মধু, যা ট্যান দূর করে ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা বজায় রাখে।
৫. অবাঞ্ছিত লোম অপসারণ মুখের অবাঞ্ছিত লোম সত্যিই বিব্রতকর হতে পারে। এসবের জন্য প্রতিবার বিউটি পার্লার যাওয়াটাও বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। একটি পেঁপে, মধু ও মুলতানি মাটির মাস্ক তৈরি করুন এবং সপ্তাহে অন্তত তিনবার আপনার মুখের উপর এটি ভালোভাবে প্রয়োগ করুন, মুখের লোম থেকে নিস্তার পেতে।
এবার, ত্বকে মধু ব্যবহার করার ৫টি আশ্চর্যজনক গুনের কথা বলা হল।
১. ত্বকের আদ্রতা বজায় রাখে মধু যেহেতু ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে কন্ডিশন করে। ফলে সৌন্দর্য চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়।
২. ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার করে এটি মাইক্রো-কণা থেকে তৈরি হয় বলে ত্বকের ক্ষুদ্র ছিদ্রে প্রবেশ করে এবং এটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিষ্কার করে। এটি ছিদ্র বন্ধও করে দেয়, যাতে ধুলো এবং ক্ষুদ্রকায় প্রাণীর দ্বারা দূষিত না হয়।
৩. সম্পূর্ণ শারীরিক পরিষ্কার এক কাপ গরম জলে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে আপনার স্নানের জলে মিশিয়ে নিন। এটি আপনার পেশী শিথিল করবে এবং সারা শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করবে। এই জলে মাথা ধোবেন না। কারণ এমনটা করলে চুল আঠা আঠা হয়ে যাবে।
৪. নখ আদ্র রাখে নেইল পোলিশ তোলার পর এসিটোন নখ নষ্ট করে দেয়। তাই নখের পুষ্টি খুব জরুরি। ১/৪ চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগারের সাথে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নখের ওপর লাগিয়ে কিছুক্ষন রেখে ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।
৫. সানবার্নের চিকিৎসায় গ্রীষ্মের এই তাপদাহে ত্বককে রক্ষা করার দায়িত্ব বেড়ে যায়। আপনি বাইরে যাওয়া বন্ধ করতে পারবেন না, তবে আপনি বাড়িতে আপনার ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। ১ চা চামচ অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মেশান এবং সানবার্নের জায়গায় প্রয়োগ করুন। যেহেতু মধু প্রদাহ-বিরোধী, তাই এটি ত্বকের কোষকে শান্ত করে। ধুয়ে ফেলার পর, পুষ্টি ধরে রাখার জন্য অবিলম্বে একটি হালকা ময়েশ্চারাইজার প্রয়োগ করুন।