দেশজুড়ে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর। দেশের প্রধান প্রধান ঈদগাঁহে সকাল সাতটার পর থেকেই অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। ঈদ উপলক্ষে পৃথক পৃথক বিবৃতিতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও জাতিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এ ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারাও দেশবাসীর প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
গতকাল মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশে ঈদ-উল ফিতর পালিত হয়েছে। বাংলাদেশে ঈদ পালনের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি গতকালই সম্পন্ন করা হয়। জাতীয় ঈদগাঁহ ও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাঁহ শোলাকিয়াসহ দেশের অন্য বড় বড় সব ঈদগাঁহে নেয়া হয়েছিলো সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থা।
গত বছর ঈদ-উল ফিতরের দিন শোলাকিয়া ঈদগাঁহের কাছেই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এত দুজন পুলিশ মারা যান। পরে পুলিশের অভিযানে একজন সন্ত্রাসী এবং একজন পথচারী নারীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার কথা মাথায় রেখে এবার বাড়তি নিরাপত্তা গ্রহণ করে আইন শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী।
এর আগে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে জায়নামাজ ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ঈদগাঁহে প্রবেশ না করার অনুরোধ করা হয়। জাতীয় ঈদগাঁহে এবং শোলাকিয়াসহ উল্লেখযোগ্য ঈদগাঁহে সিকিউরিটি ক্যামেরা সংযোজন করা হয়। এ ছাড়া সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।