১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকৃত উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকার কথা জানিয়ে ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সনদ অবৈধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
পাশাপাশি এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্টদের জেনে-শুনে সিদ্ধান্ত নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছে কমিশন।
ইউজিসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী এবং একাডেমিক কর্মকর্তা।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলছেন, সনদ অবৈধ হলেও শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি বাতিল করা হয়নি। ওইসব সনদ ‘রেগুলারাইজড’ করার সুযোগ আছে।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ অবৈধ
ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জেড এইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ওয়েস্টার্ন, নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি, রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোনো উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের বৈধতা নেই।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই শীর্ষ তিনটি পদই ফাঁকা থাকায় সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কাদিরাবাদে আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, সৈয়দপুরে আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং কুমিল্লায় বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির সনদও অবৈধ।
এশিয়ান এবং রয়েল ইউনিভার্সিটিতে ২০০৯ সাল পর্যন্ত উপাচার্য থাকলেও বর্তমানে শীর্ষ তিনটি পদ শূন্য থাকায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ অবৈধ।
ইবাইস ইউনিভার্সিটিতে ২০১২ সাল, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে ২০১৩ সাল এবং দি পিপলস ইউনিভার্সিটি ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সির্টিতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উপাচার্য ছিল। বর্তমানে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকায় সেগুলোর সনদও অবৈধ।
সাউথ এশিয়া ইউনিভার্সিটিতে ২০১৬ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত এবং জার্মান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে গত মার্চ মাস পর্যন্ত উপাচার্য থাকলেও এখন উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের তিনটি পদ ফাঁকা থাকায় ওইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ অবৈধ ঘোষণা করেছে ইউজিসি।
সূত্র - কালেরকণ্ঠ