এই কার্ডিফেই ২০০৫ সালে ন্যাটওয়েস্ট ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার মতো বিশ্বসেরা দলকে হারিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিল বাংলাদেশ। এক যুগ পড়ে সেই পয়া মাঠেই নিউ জিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অসাধারণ জয় পেল বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান তোলে কিউয়িরা। জবাবে শাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহর জোড়া শতরানে ভর করে ১৭ বল বাকী থাকতে জয় পেল বাংলাদেশ। এদিন কার্ডিফে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে নিউ জিল্যান্ড। ওপেন করতে নামেন লিউক রঙ্কি ও মার্টিন গাপটিল। রঙ্কি (১৬) ও গাপটিল (৩৩) কেউই বড় রান পাননি। তবে তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও চার নম্বরে নামা রস টেলর ফের অনবদ্য পার্টনারশিপ গড়েন। পয়া কার্ডিফে কিউয়িদের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে জয় পেল বাংলাদেশ উইলিয়ামসন ৫৭ রান ও রস টেলর ৬৩ রান করেন।
পাঁচ নম্বরে নামা নীল ব্রুম (৩৬) ও জিমি নীশমও (২৩) গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেন। সবমিলিয়ে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান বোর্ডে তোলে কিউয়িরা। বাংলাদেশের হয়ে মোসাদ্দেক হোসেন ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই বিপাকে পড়ে। শূন্য রানে আউট হয়ে ফেরেন এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। ওপেন করতে নেমে সৌম্য সরকারও মাত্র ৩ রানে আউট হন। এরপরে সাব্বির রহমানের (৮ রান) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ফলে মাত্র ১২ রান বোর্ডে উঠতে না উঠতেই ৩ উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের। এরপরে মুশফিকুর রহিমও মাত্র ১৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ফলে মাত্র ৩৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট পড়ে বাংলাদেশ যখন নিশ্চিত হারের মুখে দাঁড়িয়ে, সেখান থেকে দলের পতন রোধ করেন অভিজ্ঞ শাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ।
নিজেদের মধ্যে অসাধারণ ২২৪ রানের পার্টনারশিপ শাকিব ও মাহমুদুল্লাহ। ছক্কা হাঁকিয়ে শতরান করেন শাকিব। ১১৪ রান করে তিনি আউট হন। অন্যদিকে মাহমুদুল্লাহ ১০৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ফলে ১৭ বল বাকী থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচে মাত্র একটিতে জিতে ও একটি ম্যাচে পয়েন্ট ভাগ করে টুর্নামেন্টে টিঁকে রইল বাংলাদেশ। এবং নিউ জিল্যান্ড টুর্নামেন্টে কোনও ম্যাচ জিততে না পেরে মাত্র ১ পয়েন্ট পেয়ে ছিটকে গেল।